ফুলকপি প্রায় প্রতিটি ভারতীয় বাড়িতে রান্না হয়। নানাভাবে খাওয়া হয় এটি। শুকনো তরকারি, গ্রেভি কারি, পরোটা, ভাপা, পাকোড়া— কত কিছু বানানো যায় এটি দিয়ে।
বেশির ভাগ মানুষই এটিকে সাধারণ একটি সবজি হিসেবেই জানেন। কিন্তু এর রয়েছে অসাধারণ ঔষধি গুণ। এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ রয়েছে। তাই এই সবজি অনেক ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগায়।
এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। ক্যালোরিও কম। তাই যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্যও এটাই সেরা। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এই সবজি কাটার বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাঁধাকপি কাটা এবং রান্না করার পদ্ধতিতে এদিক ওদিক হলে, তার পুষ্টির মানে পরিবর্তন হতে পারে।
কাঁচা বা ভাপানো বাঁধাকপি
ফুলকপিতে ভিটামিন বি, সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যেমন বিটা-ক্যারোটিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েড। বেশি ক্ষণ রান্না করলে এগুলির পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। বাঁধাকপি কাঁচা বা ভাপা খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
সিদ্ধ, ভাজা বা মাইক্রোওয়েভিং করলে এই পুষ্টিগুণগুলি পাওয়া যায় না। এর পুষ্টিগুণগুলি শুধু ক্যানসারের বিরুদ্ধেই রক্ষা করে না, চোখের জন্য ভালো, অ্যান্টি-এজিং ক্ষমতা আছে এবং মস্তিষ্কের জন্যও ভালো। এখন সবাই সবজিটিকে সব সময় ভাপিয়ে খেতে পারেন না। তাই একটি উপায় আছে, যেভাবে এই সবজিটি খাওয়া যায়।
কীভাবে ফুলকপি থেকে ক্যানসার-বিরোধী উপাদান পাবেন?
যখন বাঁধাকপি কাটা হয়, গ্রেট করা হয় বা কাঁচা খাওয়া হয়, তখন মাইরোনেস এবং গ্লুকোসিনোলেট নামে দু’টি যৌগ তৈরি হয়। এই দু’টি এক সঙ্গে অ্যান্টি-ক্যানসার সালফোরাফেন গঠন করে।
এই জন্য, আপনি রান্না করার প্রায় ৪৫ মিনিট আগে বাঁধাকপি কেটে রাখুন। ৪৫ মিনিটে এটি নষ্ট হয় না। বরং যদি আপনি এটি কেটে অবিলম্বে রান্না করেন, তাহলে এই যৌগ গঠিত হয় না। ফুলকপি থেকে ক্যানসার বিরোধী যৌগ পাওয়ার এটি সহজতম রাস্তা।
আরও একটি উপায় হল, যদি সবজি রান্নার সময়ে এতে পিষে পিষে এর মধ্যে সর্ষের দানা দিন। এটি সালফোরাফেন তৈরি করতে পারে।