দেশের মধ্যে বেঙ্গালুরুতে এই ধরনের ক্লিনিক থাকলেও এতদিন কলকাতায় এই ধরনের ক্লিনিক ছিল না। এইবার কলকাতাতেও এই ক্লিনিক চালু হল, যা পূর্ব ভারতের মধ্যে প্রথম। কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসাইন্সে এই ক্লিনিক চালু হয়েছে। আপাতত বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত এই ক্লিনিক খোলা হবে।
Ad
মোবাইলে আসক্তি কমাতে চালু হল ক্লিনিক। প্রতীকী ছবি
মোবাইল আসক্তি বাড়ছে শিশুদের। এর ফলে পারিপার্শ্বিক জগতের সঙ্গে শিশুদের মেলামেশা ক্রমশ কমছে। যার ফলে কথা শিখতে দেরি হচ্ছে শিশুদের। শুধু তাই নয়, আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও, একাকীত্ব বাড়ছে। আর তা থেকে পরবর্তী জীবনে হতাশায় ভুগছে বহু শিশু। প্রথম প্রথম ইউটিউবে ভিডিয়ো আর একটু বড় হলে মোবাইলে গেমে আসক্তি বাড়ছে শিশুদের। আবার কিশোরদের ক্ষেত্রে পাবজি, ফ্রি ফায়ারের মতো গেমের ক্ষেত্রে আসক্তি বাড়ছে। শুধু তাই নয় এর ফলে সামগ্রিকভাবে শিশুদের আচরণ তো বটেই পড়াশোনাতে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই মোবাইলের প্রতি শিশু, কিশোরদের আসক্তি কমাতে চালু হল ক্লিনিক ফর ইন্টারনেট গেমিং এন্ড মিডিয়া অ্যাডিকশন সেন্টার।
দেশের মধ্যে বেঙ্গালুরুতে এই ধরনের ক্লিনিক থাকলেও এতদিন কলকাতায় এই ধরনের ক্লিনিক ছিল না। এইবার কলকাতাতেও এই ক্লিনিক চালু হল, যা পূর্ব ভারতের মধ্যে প্রথম। কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসাইন্সে এই ক্লিনিক চালু হয়েছে। আপাতত বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত এই ক্লিনিক খোলা হবে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুদের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। যার ফলে পড়াশোনায় খারাপ ফল এবং শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা বাড়ছে। সেই সমস্যার সমাধানে এই ক্লিনিক খোলা হয়েছে। যদিও মোবাইল আসক্তির জন্য বাবা-মাকে দায়ী করেছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের মতে, শিশুকে ভোলানোর জন্য অল্প বয়সে তাদের হাতে মোবাইল তুলে দিচ্ছেন অভিভাবকরা। পরে বাড়ির খুদে সদস্য মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে। পড়াশোনায় খারাপ ফল তো বটেই বন্ধুদের সঙ্গেও মাঠে খেলাধুলা করছে না। মাঠে খেলাধুলার অভাবে শিশুদের শারীরিক সমস্যাও বাড়ছে।