কিছুদিন আগেই বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে সুপারস্টার জিতের নতুন ছবি 'বুমেরাং'। রোবট কেন্দ্রীক সায়েন্স ফিকশন কমেডি এই 'বুমেরাং'। টলিউডে বেশ অন্যস্বাদের একটা ছবি। কিন্তু, বাংলার বক্স অফিসেই বা কতটা সাফল্য পেল এই নতুন ধারার কাজ? সবটা নিয়ে অভিনেতা জিৎ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন।
কিছুদিন আগেই বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে সুপারস্টার জিতের নতুন ছবি 'বুমেরাং'। এই সিনেমায় তিনি ছাড়াও রয়েছেন রুক্মিণী মৈত্র, সৌরভ দাস-সহ অনেকে। রোবট কেন্দ্রীক সায়েন্স ফিকশন কমেডি এই 'বুমেরাং'। টলিউডে বেশ অন্যস্বাদের একটা ছবি। কিন্তু, এই ছবি দেখে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া কেমন? বাংলার বক্স অফিসেই বা কতটা সাফল্য পেল এই নতুন ধারার কাজ? সবটা নিয়ে অভিনেতা জিৎ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন।
অন্য সময়কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জিৎ জানান ব্যাবসার নিরিখে কতটা সাফল্য এল সেটা তাঁর কাছে সেকেন্ডারি বিষয়। নায়ক তথা প্রযোজক বলেন, 'ব্যবসা নিয়ে ভাবনাটা সেকেন্ডারি হয়। প্রথমে মনে হয় মানুষের কেমন লাগবে। আমরা যা ভেবে বানিয়েছি মানুষ তার সঙ্গে কানেক্ট করতে পেরেছেন এটাই বড় কথা। আমি 'নন্দন'-এ একদিন পিছনের সিটে বসে ৪০ মিনিট 'বুমেরাং' দেখেছি। আমাকে কেউ দেখতে পাননি। সবাই প্রাণ ভরে ছবিটা উপভোগ করছিলেন, আর সেটাই আমার কাছে তৃপ্তির।' তাঁর মতে, আগে থেকে ছবি ভালো হবে, এটা বলা ঠিক নয়। কারণ সব কিছু ভালো করার পরেও অনেক সময় বুমেরাং হয়ে যায়।'
আরও পড়ুন: 'মারধর করে জেলে যেতেন…' আরমান মালিককে নিয়ে করা উরফির মন্তব্যের সমালোচনা করলেন রাখি
তবে কেবল নিজের ছবি নয়, ইন্ডাস্ট্রি নিয়েও নানা কথা বলেন জিৎ। তাঁর কথায় লিডিং হিরোরা একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার বার্তা উঠে এসেছে। তাঁর মতে, এটা খুব ভালো এবং দরকারি একটা বিষয়। তবে নায়ক কেবল কাজের ক্ষেত্রে নয়, জীবনের সব ক্ষেত্রেই বেঁধে বেঁধে থাকার পন্থায় বিশ্বাসী। তাঁর কথায়, 'এতে পাওয়ার বাড়ে, শক্তি বেড়ে যায়।' কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে যেতে গেলে তো সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, তাহলে জিৎকে কেন অন্য প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কাজে করতে দেখা যায় না? এ প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, 'আমি কখনও বলিনি অন্য প্রযোজনা সংস্থা বা পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে চাই না। বরং অনেক দিন ধরেই বলছি আমি কাজ করতে চাই। ভালো, ইন্টারেস্টিং কিছু থাকলে নিশ্চয়ই করব।'
আরও পড়ুন: এবার বিধবা মায়ের চরিত্রে ঋ! কোন মেগায় থাকছেন তিনি?
এই কথার প্রসঙ্গে, তিনি দক্ষিনী ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে বলেন। একটা অ্যাভারেজ দক্ষিণী ছবি খুব ভালো একটা বাংলা ছবির থেকে অনেকটা বেশি ভালো ব্যবসা করছে একথা মানতে না রাজ নায়ক। তাঁর মতে, 'প্রতিটা ছবি তার ভাগ্য নিয়ে আসে। আর সাউথের সেন্টিমেন্ট ফ্যানাটিজম, কালচার অনেক আলাদা। ওরা খুব ভালো ব্যবসা করছে। কনটেন্টও খুব ভালো। চারটে স্টেট ভালো কাজ করছে। তেলুগু, মালয়ালম তো ছিলই, কন্নড় ছবিও ভালো ব্যবসা করছে, ভালো কনটেন্ট নিয়ে কাজ করছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমাদের সব সময়ে ইন্ডাস্টি আর ফ্ল্যাটারনিটির সম্বন্ধে ভালো কথা বলা উচিত।' এ প্রসঙ্গে তিনি সংবাদ মাধ্যমগুলির ভূমিকার কথাও বলেন, 'মিডিয়ারও ইন্ডাস্ট্রির বিষয়ে পজিটিভ খবর করা উচিত। একটু মোটিভেটেড রাখা, ব্যাক করা মিডিয়ারও কাজ। কাজের ক্ষেত্রে আমরা কী ট্রাই করছি, কোন ইউনিকনেস নিয়ে ছবিগুলো তৈরি করছি সেগুলো হাইলাইট করা উচিত। আমাদের বাজার খারাপ, এই কথা বলাটা কোনও কাজের কথা নয়।'