বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Fact Check: উত্তাল বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পর জনরোষের শিকার রবীন্দ্রনাথের মূর্তি? বিভ্রান্ত হওয়ার আগে জানুন সত্য ঘটনা
পরবর্তী খবর
Fact Check: উত্তাল বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পর জনরোষের শিকার রবীন্দ্রনাথের মূর্তি? বিভ্রান্ত হওয়ার আগে জানুন সত্য ঘটনা
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 07 Aug 2024, 09:30 PM ISTSubhasmita Kanji
Viral Video: সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের একাধিক ছবি এবং ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি ভাঙা হয়েছে। কিন্তু সত্যিই কি এই ঘটনা ঘটেছে?
Ad
উত্তাল বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পর জনরোষের শিকার রবীন্দ্রনাথের মূর্তি?
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের একাধিক ছবি এবং ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি ভাঙা হয়েছে। কিন্তু সত্যিই কি এই ঘটনা ঘটেছে? বিভ্রান্ত হওয়ার আগে জেনে নিন আসল ঘটনা।
গত মাসে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। মাঝে সেই আন্দোলনের আঁচ কিছুটা স্তিমিত হলেও ধিকিধিকি জ্বলছিলই। পরে সেটা হাসিনার পদত্যাগ আন্দোলন হয়ে ওঠে। সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দিয়ে বোনের সঙ্গে ভারতে পালিয়ে আসেন। তারপর সেদেশের গণ ভবন দখল করে নেয় উত্তাল জনতা। একই সঙ্গে শুরু হয় সেদেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার। মন্দির ভেঙে ফেলা হয়। হিন্দুদের বাড়ি ভেঙে ফেলা বা আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে হিন্দুদের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের যেমন হত্যা করা হচ্ছে তেমনই ভাঙা হচ্ছে মূর্তিও। আর অন্যান্য সমস্ত মূর্তির সঙ্গে কি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিও ভাঙা হয়েছে? সম্প্রতি একাধিক ভাইরাল ভিডিয়ো এবং ছবি দেখলেই তাই মনে হবে। কিন্তু না। এই ঘটনা বর্তমান সময়ের নয়।
বরং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি ভাঙার ভিডিয়োটি ২০২৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারির। সেদিন ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের টিএসসি সংলগ্ন এলাকা থেকে এই মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়। সেই খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছুটে যান। আসলে এই মূর্তি সেই বছরই ১৪ ফেব্রুয়ারি একুশের বইমেলার কাছে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সেখানে আদর্শ প্রকাশনীর স্টল না বসতে দেওয়ার প্রতিবাদে সহ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হয়রানি প্রতিবাদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেখানেই দেখা যায় রবীন্দ্রনাথের মুখ বাঁধা। হাতে থাকা গীতাঞ্জলিতে পেরেক ঠোকা।
১৪ ফেব্রুয়ারি এই মূর্তি প্রতিস্থাপনের পরই সেটাকে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা সরিয়ে ফেলেন। পরে ১৭ ফেব্রুয়ারি মূর্তিটা খুঁজে পাওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সেটা সরিয়ে নেন।