সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে গত কয়েক মাস ধরেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে নন্দিনী ওরফে মমতা গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতার অফিসপাড়া, ডালহৌসি চত্বরে পাইস হোটেল চালান এই সুন্দরী। ভাইরাল হওয়ার পর বেশ কয়েকমাস কাটলেও নেটিজেনদের মধ্যে জিনস-টপ পরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রান্না করা করা এই স্মার্ট দিদিকে নিয়ে ক্রেজ একটুও কমেনি। তবে নন্দিনীকে ঘিরে ইতিবাচক চর্চার চেয়ে নেতিবাচক আলোচনাই বেশি। আরও পড়ুন-‘না হলে আর বিয়েই হবে না!’, হবু বরের সঙ্গে পরিচয় করাল নন্দিনী, কোন পেশায় আছে সে?
অনেকেই তাঁকে ‘দ্বিতীয় রানু মন্ডল’, ‘অহংকারী’ ইত্যাদি নানান কটাক্ষে বিদ্ধ করেন হামেশা। মাঝেমধ্যেই নন্দিনীর ভাতের দোকানের একাধিক ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে নিজের বাবা-মা'র উপর কাজ নিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করছেন নন্দিনী। তাঁর সেই আচরণকে মোটেই ভালো চোখে দেখেনি নেটপাড়া। বৃদ্ধ বাবা-মা'র সঙ্গে গলা উঁচিয়ে কথা বলাটা মোটেই শোভনীয় নয় বলে মন্তব্য সবার। এই কটাক্ষ নিয়ে প্রথমবার পালটা জবাব দিলেন নন্দিনী দিদি।
ফুডি ভাই নামক এক ভ্লগারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নন্দিনী বলেন, ‘সকাল থেকে দেখছিস আমার মা বকার পর বকা খাচ্ছে, দোষগুলোও দেখতে পাচ্ছিস। বকা আমিও খাই। কিন্তু সমস্যাটা হল লোকেদের ভিউজ চাই, ফুটেজ চাই। তাই তারা সেইটুুকুই তোলে যেখানে আমি বলছি। আসলে কী হচ্ছে কেউ জানে না।'
ব্যবসা বাড়ায় এখন ‘ঘ্যাম’ বেড়ে গিয়েছে নন্দিনীর? প্রশ্ন শুনেই তাঁর সপাট জবাব- ‘এটা আমার বিজনেসের জায়াগা। কেউ এসে নিজের প্রফিট লাইন খোঁজে, আর আমার প্রফিট লাইন না দেখে, তাহলে তো আমি রাগ করবই।’ এরপরই বাবা-মা'র প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন- ‘আমার বাবা-মা যখন আমাকে প্রফিট দিচ্ছে না বা ভুলভ্রান্তি করছে তখন বকা দিচ্ছি। তাহলে অন্যরা তো বকা খাবেই।’
করোনায় নন্দিনীর বাবা চক্রধারীবাবুর ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। তখনও রাজ্যের বাইরে মমতা থুরি নন্দিনী। চক্রধারীবাবু কিছুটা বাধ্য হয়েই অফিস পাড়ায় এক চিলতে দোকান খোলেন। মা অসুস্থ হয়ে পড়লে ভিন রাজ্যে চাকরি ছেড়ে এসে বাবা-মা'য়ের ব্যবসায় হাত লাগান নন্দিনী। তখন প্রতিদিন সেই হোটেলের খদ্দের ছিল জনা ৩০, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০ জনে। দম ফেলবার ফুরসৎ নেই নন্দিনী দিদির। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে নন্দিনীর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।
কিছুদিন আগেই হোটেলের নতুন শাখা খোলার কথা জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি আরও একটা সুখবর শেয়ার করে নিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার সকলকে নিজের প্রেমিক রুদ্র দাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন নন্দিনী। এবার জানালেন দীর্ঘদিনের ভালোবাসার মানুষ রুদ্রর গলাতেই শীঘ্রই মালা দেবেন। পুজোর আগে সেরে ফেলতে পারেন এনগেজমেন্টও। নন্দিনীর কথা, ‘এখন বিয়ে না করলে আমার আর বিয়েই হবে না’!