স্ত্রী কল্পনা দাসের পরামর্শে, CJI ডিওয়াই চন্দ্রচূড় শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারক এবং কর্মীদের জন্য বহুল চর্চিত ছবি 'লাপাতা লেডিস'- এর স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। ছবির প্রযোজক আমির খান এবং পরিচালক কিরণ রাও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ছবি প্রদর্শনের আগে তাঁরা নানা কথাও ভাগ করে নেন।
'লাপাতা লেডিস'- এর পোস্টার
স্ত্রী কল্পনা দাসের পরামর্শে, CJI ডিওয়াই চন্দ্রচূড় শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারক এবং কর্মীদের জন্য বহুল চর্চিত ছবি 'লাপাতা লেডিস'- এর স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। ছবির প্রযোজক আমির খান এবং পরিচালক কিরণ রাও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ছবি প্রদর্শনের আগে তাঁরা নানা কথাও ভাগ করে নেন।
সুপ্রিম কোর্টে 'লাপাতা লেডিস'- এর প্রদর্শনীতে ছবিটি দেখার পর, CJI চন্দ্রচূড় শীর্ষ আদালতের সব কর্মীদের ছবিটি দেখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কারণ তিনি ছবিটি দেখে অনুভব করেছেন যে সিনেমাটিতে লিঙ্গভেদ নিয়ে যে সামাজিক ধরণা তার নিয়ে সরব হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বছর উদযাপনের অনুষ্ঠানে এই ছবিটির স্পেশাল স্ক্রিনিং হয়।
CJI- এর কোর্টরুমে এটি একটি দর্শনীয় দৃশ্য ছিল। একটি ব্যারিকেড টেপ দিয়ে কিছু আসন আলাদা করে রাখা হয়। সেখানেই বসেছিলেন আমির খান। তাঁর পরনে ছিল একটি প্রিন্টেড কুর্তা। অন্যদিকে, কিরণ রাও একটি সাদা টপের উপর নীল শাড়ি পরেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে CJI এবং তাঁর সহকর্মীরাও ছিলেন। বিচারক জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রও ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার সেখানেই ইভেন্ট চলাকালীন, আমির ছবিটি নির্মাণের ক্ষেত্রে তাঁর অনুপ্রেরণার কথা শেয়ার করেছেন। অভিনেতা জানান যে, তিনি নতুন প্রতিভাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম করে দিতে চেয়েছিলেন। আর কোভিডের সময় এই সিদ্ধান্তে তিনি আরও জোর দিয়েছেন, আগামী ১৫ বছর তিনি বলিউড ইন্ডাস্ট্রির জন্য সক্রিয় ভাবে কাজের মাধ্যমে নতুন নতুন প্রতিভাদের লাইমলাইটে আনতে চান।
নায়ক বলেন, 'আমি ভেবেছিলাম একজন অভিনেতা হিসেবে বছরে একটি করে ছবি করব, কিন্তু একজন প্রযোজক হিসেবে আমি আরও অনেক ছবি প্রযোজনা করতে পারব। আমি নতুন প্রতিভাদের একটা প্ল্যাটফর্ম দিতে চাই। আমি নতুন লেখক, পরিচালক এবং এই বিনোদন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে একটা প্ল্যাটফর্ম দিতে পারি। সেই অর্থে 'লাপাতা লেডিস'ই আমার প্রথম প্রজেক্ট। আমি প্রতিভাদের পাশে থাকতে চাই।'