ইব্রাহিম আলি খান বাবা সইফ আলি খান এবং তাঁর দুই ভাই তৈমুর আলি খান এবং জাহাঙ্গীর ওরফে জেহের সাথে একটি আনন্দে ভরা দিন কাটিয়েছেন। শনিবার ইনস্টাগ্রামে ইব্রাহিম পার্কে যাওয়ার সময়, এবং সেখানে কাটানো নানা মূহুর্তের একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন। তিন ছেলে ইব্রাহিম, তৈমুর, জেহের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন সইফ আলি খান একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি ডালে বসে আছেন ইব্রাহিম আলি খান, সইফ, তৈমুর ও জেহ। সইফ যখন ইব্রাহিমের দিকে তাকাচ্ছিলেন, তখন তিনি হাসছিলেন এবং ক্যামেরার জন্য পোজ দিচ্ছিলেন। তৈমুর হাসতে হাসতে জেহকে জড়িয়ে ধরে। কনিষ্ঠতম সদস্যকে মুখে একটি দুষ্টু হাসি নিয়ে ক্যামেরা থেকে দূরে তাকিয়ে থাকতে দেখা গেছে। আরও কয়েকটি ছবিতে তৈমুর ও জেহকে ক্রিকেট খেলতে দেখা গেছে। জেহ যখন ব্যাট করছিলেন, তৈমুর বোলার হয়ে গিয়েছিল। ছেলেদের সঙ্গে আড্ডার জন্য সইফ একটি জলপাই সবুজ শার্ট, ডেনিম এবং জুতো পরেছিলেন। ইব্রাহিম বেছে নিয়েছিলেন বাদামি রঙের টি-শার্ট, ডেনিম ও সাদা স্নিকার্স। তৈমুর ও জেহ টি-শার্ট ও শর্টস পরেছিলেন। ছবি শেয়ার করে ইব্রাহিম ক্যাপশনে লিখেছেন, 'পার্ক ডে (জাতীয় উদ্যান ও ক্রিকেট খেলার ইমোজি)। সইফের বোন সাবা আলি খান লাল হৃদয়ের ইমোজি পোস্ট করেছেন। এক ভক্ত বলেন, ‘এখন একমাত্র জেহ বাবাই ভারতীয় ক্রিকেটকে বাঁচাতে পারেন।’ একজন লিখেছেন, ‘কিউট বয়েজ। হ্যাপি ফ্যামিলি টাইম।’ কেউ আবার কমেন্টে লিখেছেন, 'মাল্টিভার্স অফ সাইফ আলি খান'। একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, "সইফ আলি খান তার লার্জ, মাঝারি, ছোট সমস্ত সংস্করণ সহ ' আরেকজন লিখেছেন, ‘জেহ করিনা কাপুরের আরেক সংস্করণ’। সইফের সংসার প্রসঙ্গে২০১২ সালে করিনা কাপুরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন সইফ। তারা এলওসি কার্গিল (২০০৩) এবং ওমকারা (২০০৬) ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন। ২০০৮ সালে 'তাশান' ছবির সেটেই একে অপরের প্রেমে পড়েন তাঁরা। সইফ ও করিনার দুই ছেলে তৈমুর (২০১৬ সালে জন্ম) ও জেহ (২০২১ সালে জন্ম হয়)। করিনার আগে সাইফ অমৃতা সিংয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এবং তাঁদের একসাথে দুটি সন্তান রয়েছে, অভিনেতা সারা আলি খান এবং ইব্রাহিম আলি খান। সইফকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল কুকি গুলাটি ও রবি গ্রেওয়াল পরিচালিত 'জুয়েল থিফ' নামের একটি অ্যাকশন থ্রিলার ছবিতে। মারফ্লিক্স পিকচার্স প্রযোজিত এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছিলেন জয়দীপ আহলাওয়াত, নিকিতা দত্ত এবং কুনাল কাপুর। চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল নেটফ্লিক্সে স্ট্রিমিং শুরু হয় ছবিটির।