হৃতিক বলিউডের একজন বিখ্যাত তারকা হলেও তাঁর বোন সুনয়না রোশনকে অনেকেই চেনেন না। লাইমলাইট থেকে চিরকাল দূরে থাকেন তিনি। তবে ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন ফাইটার। ক্যানসারের মতো মারণ রোগ হোক অথবা মদ্যপানে আসক্তি, জীবনের কালো অধ্যায় নিয়ে সম্প্রতি তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে খোলাখুলি কথা বললেন।
সম্প্রতি পিঙ্কভিলাকে একটি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সুনয়না বলেন, ‘আমার জীবনে একটা সময় এমন এসেছিল যখন আমি যক্ষ্মা এবং ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করার পর মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি। ঠিক সেই সময় আমি মদ্যপান শুরু করেছিলাম। মনে হয়েছিল এটাই আমার বেঁচে থাকার একমাত্র রাস্তা। কিন্তু খুব শীঘ্রই আমি বুঝতে পারি আমি সঠিক পথ বেছে নিইনি।’
আরও পড়ুন: মুসলিম হয়েও হিন্দু রীতি মেনে পুজো উরফির, হামাগুড়ি দিয়ে গেলেন কোন মন্দিরে?
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ-রসুনে না, নিজস্বী তুলতেও বাধা! মেট গালায় যেতে মানতে হবে কী কী আজব নিয়ম?
সুনয়না বলেন, ‘অতিরিক্ত মদ্যপানের নেশায় আমি মাঝে মাঝে চেতনা হারিয়ে ফেলতাম। বিছানা বা চেয়ার থেকে পড়ে যেতাম। সারা শরীরে দাগ হয়ে যেত। নিজে না পারলে কাউকে টাকা দিয়ে মদ আনিয়ে নিতাম। এইভাবে বেশ কিছুদিন চলার পর আমি বুঝতে পারি যে আমার শরীর ভেতর থেকে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এর পরিণতি খুব একটা ভালো হবে না।’
হৃতিকের বোন বলেন, ‘একটা সময় আমি বাবা-মার কাছে গিয়ে অনুরোধ জানাই যাতে ওঁরা আমায় রিহ্যাবে রেখে দিয়ে আসেন। আমি সুস্থ হতে চেয়েছিলাম। ২৮ দিন আমাকে একটা ঘরে আটকে রাখা হয়। এই ২৮ দিন আমি ঘুমোইনি। তবে ধীরে ধীরে আমি সুস্থ হয়ে উঠি। চকলেট, চিনি, সুগন্ধি জাতীয় সমস্ত জিনিস আমার থেকে সরিয়ে রাখা হত। আসক্তি হয়ে যাবে এমন সব কিছু থেকে আমি দূরে থাকতাম।’
আরও পড়ুন: কিং বেশে শাহরুখ, রাজকীয় অবতারে দিলজিৎ, মেট গালায় চমক দিলেন ভারতীয় তারকারা
আরও পড়ুন: ইনফ্লুয়েন্সারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর লেখেন খোলা চিঠি, চেনেন বাবিলের প্রাক্তনকে?
ছোটবেলার স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি বলেন, ‘আমার ছোটবেলাও ভীষণ খারাপ ভাবে কেটেছে। স্কুলে সবাই আমাকে ঘৃণা করতো। স্কুলকে যেন জেলখানা মনে হতো। রাকেশ রোশনের মেয়ে হয়েও আমি কারও থেকে ভালো ব্যবহার পাইনি। সেই সময় বাবাও আমাকে সঙ্গ দেননি। দাদার মতো আমিও তারকা সন্তান ছিলাম কিন্তু সেই সম্মান কখনও পাইনি আমি।’
প্রসঙ্গত, জীবনে বহুবার মানসিক এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুনয়না। যদিও এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ। বাবা বা দাদার সঙ্গে যে মনোমালিন্য তৈরি হয়েছিল একসময়, সেটাও এখন কেটে গিয়েছে। সব মিলিয়ে আপাতত একটি সুস্থ জীবন যাপন করছেন রাকেশ কন্যা।