সম্প্রতি সৃজিত মুখোপাধ্যায় জানালেন লহ গৌরাঙ্গের নাম রে ছবিতে রুক্মিণী মৈত্রের কাজ করার কথা ছিল। এমনকি একটি চরিত্রের প্রস্তাবও দেওয়া হয় অভিনেত্রীকে। রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান ছবির পর কি সেখানেও অভিনেত্রীর একই চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল? কী জানালেন পরিচালক?
আরও পড়ুন: 'বৈশাখী ভিলেন, তোমার ঘর ভেঙেছে', বলেছিলেন কল্যাণ! পাল্টি খেতেই রত্নার হুঁশিয়ারি, 'শেষ দেখে ছাড়ব'
কী ঘটেছে?
এদিন এক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের তরফে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনা হয়, সেখানেই রুক্মিণী মৈত্রকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'সৃজিত আমাকেও এই ছবিটা অফার করেছে কিছু মাস আগে। তারপর জানি না কী হল। আমায় যতদূর সৃজিত বলেছিল এটা গৌরাঙ্গকে নিয়ে। পুরো ছবিটা গৌরাঙ্গ নিয়ে, তার মধ্যে এটা একটা অংশ। কিন্ত এই যে গোটা জিনিসটা যেটা হয়েছে তাতে আমি গর্ববোধ করি। যদিও সে নবাগত এই বাংলার বুকে, তবুও আমি রাম কমল মুখোপাধ্যায়কে কুর্নিশ জানাই গত পাঁচ বছর ধরে যেভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন সেটা, আর বলেছিলেন যে আমি যদি নারীকেন্দ্রিক ছবি বানাই তাহলে এই বাজেটেই বানাব, আর রুক্মিণীর সঙ্গেই বানাব সেটার জন্য। উনি যে সাহস দিয়েছেন, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের মতো পরিচালক ওঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছে সেটাই তো প্রাপ্য বিনোদিনীর।'
এদিন এই পোস্টটি শেয়ার করে সেটার বিরোধিতা করেন খোদ সৃজিত মুখোপাধ্যায়। বাদ যাননি লহ গৌরাঙ্গের নাম রে ছবির অন্যতম প্রযোজক রানা সরকার।
কী লিখেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়?
সৃজিত মুখোপাধ্যায় এদিন লেখেন, ' রুক্মিণী মৈত্রকে যে চরিত্র অফার করা হয়েছিল সেটা রাইয়ের চরিত্র, একজন পরিচালক যিনি চৈতন্য মহাপ্রভুকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন। বিনোদিনী চরিত্রটির জন্য আমার প্রথম থেকে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কেই পছন্দ ছিল। আর সেটা ২০২০ সালেই ঠিক করা হয়। লহ গৌরাঙ্গের নাম রে ছবিটি লেখা হয় ২০১৯ সালে। এছাড়া বেশ কিছু মহিলাকেন্দ্রিক ছবি যেমন রাজকাহিনী ২০১৫ এবং বেগম জান ২০১৭ সালে লেখা হয়। এটা ঋতুপর্ণ ঘোষ, সঞ্জয় লীলা বনশালি বা কোনও হাইব্রিড ম্যায়েস্ট্রোর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বানানো হয়নি। বানানো হয়েছে চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবন এবং তাঁর সময়ের অনুপ্রেরণায়।'
এই বিষয়ে জানিয়ে রাখি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের শেষ কথাটি রুক্মিণী মৈত্রর ভাইরাল হওয়া একটি সাক্ষাৎকারের অংশের উত্তর। যেখানে অভিনেত্রীকে বলতে শোনা যায়, 'আমার একটাই আক্ষেপ রয়ে গেছিল যবে আমি অভিনয়ের জগতে পা রাখি তবে থেকেই। আমাকে রাজ দা বলেছিল চ্যাম্পের সেটে, আমি একটা কাজ করছিলাম, সেটা করতে করতেই রাজ দা ক্যামেরার পিছন দিয়ে দেখে বলছে যে রুক্মিণী তুই না একটা জীবন সারা জীবন মিস করবি। আমি বললাম কী? আমায় বলেছিল তোর মতো অভিনেত্রীর না ঋতু দার হাতে পড়া উচিত ছিল। তুই বুঝবি, কেন বলছি। তোরই হতো ঋতু দার সঙ্গে কাজটা। আমি যখন রামের সঙ্গে এই ছবিটা করি, আমাদের এসথেটিকস, ভিশন এত ভাবে মেলে যে কী বলি। আমি সবাইকে সম্মান জানিয়েই ছোট মুখে অনেক বড় কথা বলছি বনশালি আর আমাদের বাংলার ঋতু দা, দুজন মিলে যদি কিছু দিতে পারতো, বা চেষ্টা করতে পারত সেটা হল আমার রাম কমল।'