লকডাউনেও রামায়ণ নিয়ে প্রশ্ন পিছু ছাড়ছে না সোনাক্ষী সিনহার। এই মহাকাব্য নিয়ে সোনাক্ষীর জ্ঞান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু কাঁটাছেড়া চলছে গত বছর সেপ্টেম্বর থেকেই। সম্প্রতি ‘শক্তিমান’ মুকেশ খান্নাও শক্রুঘ্ন কন্যার রামায়ণের জ্ঞান নিয়ে কটাক্ষ করেন, তারপর থেকেই ফের চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে সোনাক্ষী সিনহা। ইনস্টাগ্রামে প্রশ্নোত্তর পর্বেও ফ্যানেদের কাছে রামায়ণ বিষয়ক প্রশ্নের মুখে পড়তে হল সোনাকে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় কে ‘সঞ্জীবনী ঔষধি’ আনতে গিয়েছিলেন?এই প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন অভিনেত্রী। দাবাং গার্ল জবাবে বলেন, ‘আপনাদের সকলেরই রামায়ণ বিষয়ক প্রশ্ন রয়েছে, দয়া করে আপনারা দূরদর্শনে রামায়ণ দেখুন, আপনাদের সব উত্তর পেয়ে যাবেন। জয় বজরংবলি!’হনুমান কার জন্য সঞ্জীবনী ঔষধি আনতে গিয়েছিলেন? গত বছর সেপ্টেম্বরে কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র মঞ্চে সোনাক্ষী এই সহজ প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হন। সোনাক্ষীর সামনে চারটি অপশন ছিল-সুগ্রীব,লক্ষণ,সীতা এবং রাম। তা সত্ত্বেও উত্তর দিতে পারেন নি দাবাং গার্ল। তারপর থেকেই ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল নায়িকাকে। প্রসঙ্গত, সোনাক্ষীর দুই ভাইয়ের নাম লব-কুশ। রাম-সীতার পুত্রদের নামানুসারেই দুই ছেলের নাম রেখেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। সোনাক্ষী যে বাড়িতে থাকেন তাঁর নাম ‘রামায়ণ’। এই মহাকাব্য সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর সোনাক্ষীর না জানা থাকায় হয়রান হয়ে গিয়েছিলেন বিগ-বিও!রামায়ণ-মহাভারতের টেলিভিশনে ফেরত আসার উপকারিতার কথা বলতে গিয়ে সোনাক্ষীকে কটাক্ষ করেছিলেন অভিনেতা মুকেশ খান্না। তিনি জানান, ‘রামায়ণ-মহাভারতের টিভির পর্দায় ফিরে আসাটা অনেকেরে কাজে লাগবে, যারা আগে এই শোগুলো দেখেনি। এটা সোনাক্ষী সিনহার মতো মানুষদের সাহায্য করবে যাঁদের আমাদের পুরাণ বা মহাকাব্য নিয়ে কোনও জ্ঞান নেই। ওঁরা এটাও জানে না ভগবান হনুমান কাঁর জন্য সঞ্জিবনী আনতে গিয়েছিলেন'। বিআর চোপড়ার মহাভারতে ভীষ্মের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মুকেশ খান্না।