মা হয়ে ছোট্ট সন্তানকে ছেড়ে দূরে কাজ করতে যাওয়া যে কতটা মানসিক কষ্টের, সেই অনুভূতি হয়ত কোনোও মা-ই বুঝবেন। ঠিক যেমনটা বারবার ঘটে থাকে শ্রেয়া ঘোষাল ও তাঁর সাড়ে ৩ বছরের ছেলে দেবয়ানের সঙ্গে। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে এমনই একটা মন খারাপ করা ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন শ্রেয়া ঘোষাল।
সোমবার সকালে, সোশ্যাল মিডিয়া একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন শ্রেয়া।যেখানে দেখা যাচ্ছে, ব্যালকনি থেকে একটা বিমান উড়ে যাওয়া দেখছে ছোট্ট দেবয়ান। সেটি উড়ে যাওয়ার আগে কেউ একজন ছোট্ট দেবয়ানকে বলছে, ‘এবার দেখো মামার এরোপ্লেন দেখা যাবে।’ দেবয়ান তখন আধো আধো ইংরাজিতে বলছে, ‘মা তো এখন প্লেনে করে উড়ে যাচ্ছে গান গাওয়ার জন্য।’ এরপর পিছন থেকে বলে দেওয়া কোনও এক বড় ব্যক্তির কথা শুনে সে বলে, ‘বাই মাম্মা, খুব শীঘ্রই দেখা হচ্ছে। ততক্ষণ তুমি মন দিয়ে গানকে এনজয় করো।’
ভিডিয়োটি পোস্ট করে শ্রেয়া লেখেন, ‘এটা হল সেই দিনগুলির মধ্যে একটা দিন, যেদিনগুলিতে মা হিসাবে অপরাধবোধ চেপে ধরে। যদিও ভারসাম্য বজায় রেখে প্রতিদিন এই কঠিন কাজটা করার চেষ্টা করি। আমি যখন কাজের জন্য দূরে থাকি, তখন প্রতি মুহূর্তে আমি এটা অনুভব করি যে আমার সন্তান আমার কাছে নেই।’
শ্রেয়া ঘোষালের পোস্ট করা এই ভিডিয়োর নিচে নেটিজেন কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। অনেকেই সেখানে শ্রেয়া ও তাঁর ছোট্ট ছেলে দেবয়ানের জন্য ভালোবাসা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১-এর ২২ মে প্রথম সন্তানের জন্ম দেন শ্রেয়া। ছেলের নাম রাখেন দেবয়ান। সেসময় মা হওয়ার সুখবর নিজেই সকলকে জানিয়ে শ্রেয়া লিখেছিলেন, গত ২২ তারিখ সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রেয়া জানিয়ে ছিলেন, ‘আজ দুপুরে ভগবান আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান উপহার দিয়েছে… একটি ফুটফুটে ছেলে! এটা একদম আলাদা অনুভূতি। যা আগে কখনও হয়নি। শিলাদিত্য, আমি, আমাদের পরিবার খুব খুশি। সবাইকে ধন্যবাদ আমাদের এই ছোট্ট সদস্যকে আশীর্বাদ ও ভালোবাসা দেওয়ার জন্য।'
পরে আবারও ছেলের সঙ্গে অনুরাগীদের আলাপ করাতে সন্তানের একটা ছবিও পোস্ট করেছিলেন গায়িকা। সেই ছবিতে তাঁর কোলে একরত্তি এবং স্বামী শিলাদিত্যও ছিলেন। ছবির ক্যাপশনে শ্রেয়া লেখেন, ‘আলাপ করিয়ে দিই, দেবয়ান মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ২২ মে ও এসে আমাদের জীবনটাকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে। ও জন্মনোর পর ওকে প্রথমবার দেখে একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয়েছিল। এটা কেবল একজন মা-বাবাই সন্তানের জন্য অনুভব করতে পারে। এখনও এটা স্বপ্নের মত মনে হয়। শিলাদিত্য আর আমি আমাদের জীবনের সেরা উপহারটা পেয়েছি।’