৬০ ও ৭০-এর দশকে বাংলা ও হিন্দি, দুই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই অত্যন্ত জনপ্রিয় নামগুলির মধ্যে একটি হল শর্মিলা ঠাকুর। কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরেই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ঠাকুর বাড়ির মেয়ে শর্মিলা। ৭০-এর দশকে সর্বাধিক পারিশ্রমিক গ্রহীতা অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। সম্প্রতি সে যুগে দাঁড়িয়ে নিজের কেরিয়ারের একটা ‘বড় সমঝোতা’ নিয়ে মুখ খুলেছেন শর্মিলা ঠাকুর।
সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেসময়ের সেই ‘সমঝোতা’ নিয়ে মুখ খুলেছেন শর্মিলা। তিনি বলেন, ১৯৬৯ সালে শক্তি সামন্তের 'আরাধনা' ছবিতে কাজ করার বিষয়ে তিনি চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। ছবিতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন সুপারস্টার রাজেশ খান্না। আর তখনই সত্যজিৎ রায় তাঁকে ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ ছবিটির জন্য প্রস্তাব দেন। তিনি 'আরাধনা'তে কাজ করা সত্ত্বেও সত্যিজিৎ রায়কে ফেরাতে পারেননি।
আরও পড়ুন-বিচ্ছেদ হলেও জো ও তাঁর পরিবারকে এখনও ফলো করেন, শুধু প্রিয়াঙ্কাকে কেন আনফলো করলেন সোফি!
আরও পড়ুন-৩ দশক আগে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন, শ্রীনগরের পৈতৃক ভিটেয় ফিরে আবেগঘন সন্দীপা
শর্মিলা ঠাকুরের কথায়, 'আমি আরাধনায় কাজ করছিলাম, যে ছবিটা তৈরি হতে কয়েক বছর লেগেছিল। সেসময় মানিকদা (সত্যজিৎ রায়) আমাকে ডেকে অরণ্যের দিন রাত্রিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। যেটা ছিল এক মাস সময়ের প্রয়োজন ছিল। দার্জিলিং-এ 'সপনো কি রানি' এর শুটিংয়ের সঙ্গেও আবার যে ছবির বিরোধ হয়েছিল। তখন রাজেশ খান্নার ডেট পাওয়া বিশাল ব্যাপার ছিল। কারণ তিনি ১২ জন প্রযোজকের সঙ্গে কাজ করছিলেন। এদিকে আমি পরিচালক শক্তি সামন্তকে সত্যজিৎ-এর প্রস্তাব গ্রহণ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। একথা শুনে তিনি দুঃখ পেয়েছিলেন।'