কেরিয়ারের শুরুর দিকে মাত্র ৫০০০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক নিতেন সলমন খান। তারপর এক লাফে সেটা বাড়িয়ে ৫ লাখ করে দেন সলমন! কিন্তু কেন? কীই বা ঘটেছিল তারপর? কী জানালেন পরিচালক লরেন্স ডিসুজা?
সলমনকে নিয়ে কী জানালেন লরেন্স ডিসুজা?
পরিচালক এবং সিনেমাটোগ্রাফার লরেন্স ডিসুজা সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জানান তাঁর সলমন খানের সঙ্গে শুরুর দিকে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন। আর কী কী বা শিখেছেন তিনি। ফ্রাইসে টকিজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সলমনের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি ১৯৮০ এর দশকের একটি ঘটনা মনে করে তিনি বলেন তিনি এবং প্রযোজক এস রামনাথন ম্যায়নে পেয়ার কিয়া ছবিটিতে ভাইজানের অভিনয় দেখে তাঁর সঙ্গে একটি ছবির চুক্তি সই করেন। সেই চুক্তির সময় মাত্র ৫০০০ টাকা নিয়েছিলেন সলমন খান। কিন্তু চুক্তি হওয়ার পরও ছবিটা বাস্তবায়িত হয়নি। বরং বারংবার পিছিয়ে যেতে থাকে নানা কারণে। এদিকে সলমনের জনপ্রিয়তাও বাড়তে থাকে। আর বারবার ছবি এভাবে পিছিয়ে যাওয়ার কারণে তিনি বিরক্ত হতে শুরু করেন এবং প্রযোজকের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সলমন জিজ্ঞেস করেই বসেন 'উনি কেমন মানুষ? টাকা দিয়েও কিছু করেন না।' যদিও এই ছবির ক্ষেত্রে এমন হলেও এস রামনাথন কিন্তু ততদিনে বম্বে টু গোয়া, মহান ইত্যাদির মতো ছবি বানিয়ে ফেলেছেন।
আরও পড়ুন: 'মুম্বই করে বলে এখানেও করতে হবে?' টলিউডের বিরুদ্ধে 'অভিমান' প্রকাশ কুণালের, জবাবে কী বললেন পরমব্রত?
তবে অবশেষে ১৯৯১ সালে লরেন্স ডিসুজা সলমন খানের সঙ্গে কাজ করেন সাজন ছবিতে। বক্স অফিসে হিটও করে ছবিটি। এই ছবির জন্য সলমন খান এবং মাধুরী দীক্ষিত ১১ লাখ করে পেয়েছিলেন। সঞ্জয় দত্ত পেয়েছিলেন ১২ লাখ টাকা। তাঁরা তিনজনেই ছিলেন এই ছবির মুখ্য অভিনেতা। আর এই ছবি পরিচালনা করার জন্য লরেন্স পেয়েছিলেন ৮ লাখ টাকা।