বলিউডের কেরিয়ার তৈরির কারিগর তিনি। সলমন খানের 'ঘনিষ্ঠ'দের তালিকায় একবার নাম সামিল করতে পারলেই চিন্তা শেষ! এ হেন তারকা যে নিজের পরিবারের সদস্যের দিকেও খাস নজর দেবেন, তা কি আর আলাদা করে বলে দিতে হয়?বোন অর্পিতা খানের স্বামী আয়ুষ শর্মা আগাগোড়াই চেয়েছিলেন নায়ক হতে। তাঁর সেই ইচ্ছেপূরণের দায়িত্ব নেন সলমন। তৈরি করে ফেলেন 'লভযাত্রী'। নায়ক হিসেবে উত্থান হয় আয়ুষের। কিন্তু জানেন কি, ভগ্নিপতির হাতেখড়ির জন্য অন্য একটি ছবি নজরে ছিল 'টাইগার'-এর?'লভযাত্রী' নয়, বরং 'শেরশাহ' -তে আয়ুষকে দেখতে চেয়েছিলেন সলমন। কর্ণ জোহর প্রযোজিত এই দেশাত্মবোধক ছবিতে ভগ্নিপতিকে জায়গা করে দেওয়ার বিস্তর চেষ্টাও চালিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সব চেষ্টা বৃথা হয়। কার্গিল যুদ্ধের অন্যতম নায়ক ক্যাপ্টেন বিক্রম বত্রার চরিত্রে শেষমেশ অভিনয় করেন সিদ্ধার্থ মলহোত্র।সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে 'শেরশাহ'র প্রযোজক শব্বির বক্সওয়ালা জানান, ছবির বিষয়ে বত্রা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। বিক্রমের চরিত্রে সিদ্ধার্থকে নিলে কেমন হয়, আলোচনাও চলে সে বিষয়ে। এর পরেই সিদ্ধার্থকে নিয়ে ছবি তৈরির সিদ্ধান্তে শিলমোহর বসায় বত্রা পরিবার।শব্বিরের কথায়, "সলমন চেয়েছিলেন এই ছবিটির মাধ্যমে আয়ুষের বলিউডে হাতেখড়ি হোক। এই ছবিটি তৈরির জন্য উনি আমার সঙ্গে হাত মেলাতে চেয়েছিলেন। অন্য কোনও অভিনেতার জন্য ওকে বাদ দিয়ে দেওয়াটা খুবই অনৈতিক হত। কিন্তু, ক্যাপ্টেন বত্রার পরিবার আমাকে এই ছবিটি তৈরির অনুমতি দিয়েছিল। সেটা আমার কাছে খুব বড় ব্যাপার। ওঁরা আমাকে খুবই বিশ্বাস করেছিলেন। আমি তাই সেই সময় কোনও ধরণের গণ্ডগোল চাইনি।"বলাই যায়, এই ছবিই নতুন দিশা দেখা দেখায় সিদ্ধার্থের প্রায় ডুবতে বসা কেরিয়ারকে। দর্শকের থেকে বিস্তর প্রশংসা কুড়িয়েছেন অভিনেতা। অন্য দিকে, নিজেকে নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে এখনও বেগ পেতে হচ্ছে আয়ুষকে।