তখন সদ্য গোঁফের রেখা উঠেছে সলমন খানের। সেই বয়স থেকে সলমনকে চেনেন জ্যাকি শ্রফ এবং সঞ্জয় দত্ত। স্পটবয়-কে দেওয়া এক জ্যাকি জানিয়েছেন তখন তিনি সেই চুটিয়ে মডেলিং করছেন। সেই সময়ে সলমনের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। 'রাধে'-র বয়স তখন মাত্র ১৭। কিন্তু সেই বয়সেই নিজের লুকস এবং ভাবভঙ্গির জন্য 'টাইগার'-কে দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন বলিউডের 'বীরু'। জ্যাকির কথাতেই আরও জানা যায় সেইসময় সলমনও মডেলিংয়ে হাত পাকাচ্ছিলেন। ওই একই সময়ে সঞ্জয় দত্তও প্রথমবার তাঁর 'ভাইজান'-কে প্রথমবার দেখেছিলেন।সামান্য থেমে কোনও রাখঢাক না রেখেই জ্যাকি বললেন যে সেই সময়ে সলমনের বাবা তথা বলিপাড়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্প ও চিত্রনাট্যকার সেলিম খান-এর সঙ্গে একটি প্রোজেক্টে কাজ করছিলেন তিনি। কাজ করার ফাঁকেই সেলিম খানের কাছেই সলমনের বেশ কিছু ছবি দখেছিলেন তিনি। তা দেখে জ্যাকির এতটাই ভালো লেগে যায় যে তিনি তাঁর বিভিন্ন পরিচালক এবং ছবি নির্মাতা সংস্থার আধিকারিকদের কাছে সলমনের নাম প্রস্তাব করতে থাকেন। তদ্বিরও করেন। এরপরেই ধীরে ধীরে একাধিক প্রোজেক্টে সুযোগ পেতে শুরু করেন সলমন। এমন করেই একদিন জ্যাকির সূত্রেই কে সি বোকাডিয়ার আত্মীয় সলমনকে 'ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া' ছবির প্রস্তাব দেন। বাকিটা ইতিহাস। 'বীরু'-র কথায়, ' বেশ কিছু প্রোজেক্টে সহকারী পরিচালক হিসেবে আমার সঙ্গে কাজ করেছিল সলমন। তখনই খেয়াল করেছিলাম ও যেভাবে সুন্দর ও সুচারুভাবে অভিনেতাদের শটের আগে সিন বুঝিয়ে দিত, নানান মেজাজের মানুষ সামলাত তা এককথায় দারুণ। যেভাবে সংলাপ পড়ত তা দেখার মতো ছিল। তখনই মনে হয়েছিল ছেলেটার মধ্যে অনেকদূর যাওয়ার মশলা আছে। কিন্তু কোনওদিনও ভাবিনি সলমন এতবড় তারকা হবে একদিন!'প্রসঙ্গত, বড়পর্দায় বহুবার একসঙ্গে হাজির হয়েছেন জ্যাকি এবং সলমন। তালিকায় রয়েছে 'বন্ধন', 'ভারত', 'রাধে', 'কিঁউ কী'-র মতো অজস্র সুপারহিট ছবি।