'ক্রিসন দুবাই উড়ে যাওয়ার আগে অভিযুক্তরা মুম্বই বিমানবন্দর থেকে ১০ মিনিট দূরত্বে একটি কপি শপে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। অভিনেত্রীর হাতে একটি ট্রফি তুলে দেওয়া হয়েছিল, বলা হয় ট্রফিটি অডিশনের অডিশনের জন্য প্রয়োজন হবে। এরপর শারজা বিমানবন্দরে ক্রিসানকে ট্রফির মধ্যে থাকা মাদকের জন্য গ্রেফতার করা হয়।
শারজার জেলে বন্দি অভিনেত্রী ক্রিসন পরেরা
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রাজধানী শারজার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি মুম্বইয়ের অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী ক্রিসন পরেরা। জানা যাচ্ছে, মাদক সহ বিমানবন্দরে ধরা পড়েন ক্রিসন। যদিও এবিষয়ে অভিনেত্রীর পরিবারের দাবি, ক্রিসন এই মামলার একজন শিকার।
ক্রিসন পরেরার ভাই কেভিন বলেন, ‘আমরা গত ২ সপ্তাহে মানসিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, আমার বোন নির্দোষ ওকে একটি ড্রাগ র্যাকেটে ফাঁসনো হয়েছে। ক্রিসন শারজাহ বিমানবন্দরে নামার পর থেকে ওঁর সঙ্গে পরিবারের কেউ যোগাযোগ করতে পারেননি। ভারতীয় কনস্যুলেট ৭২ ঘন্টা পরে আমাদের জানায় যে ওঁকে গ্রেপ্তার করে শারজাহ কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে’।
অভিনেত্রী পরিবারের আরও দাবি, ‘ক্রিসন এক ব্যক্তির ফাঁদে পড়েছিলেন, যিনি নিজেকে রবি বলে পরিচয় দেন। লোকটি প্রথমে ক্রিসনের মা প্রমিলা পরেরাকে মেসেজ করেন, যে মেয়ের প্রতিভা তিনি তুলে ধরতে চান কিনা। এরপর তাঁকে একটি অন্তর্জাতিক ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। বেশ কয়েকবার দেখা করার পর দুবাইতে ১ এপ্রিল ক্রিসনের অডিশনের ব্যবস্থা করা হয়। অভিনেত্রীর দুবাই উড়ে যাওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা ওই ব্যক্তিই করেছিলেন। ক্রিসন দুবাই উড়ে যাওয়ার আগে অভিযুক্তরা মুম্বই বিমানবন্দর থেকে ১০ মিনিট দূরত্বে একটি কপি শপে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। অভিনেত্রীর হাতে একটি ট্রফি তুলে দেওয়া হয়েছিল, বলা হয় ট্রফিটি অডিশনের চিত্রনাট্যের অংশ এবং অডিশনের জন্য প্রয়োজন হবে। সেকারণেই, ক্রিসন ওঁর সঙ্গে ট্রফিটি নিয়ে যান। এরপর শারজা বিমানবন্দরে নেমে রবি নামে ওই ব্যক্তির কাছে পৌঁছতে পারেননি ক্রিসন, তিনি একটা গন্ধ পেয়েছিলেন। এরপর ১০ এপ্রিল, আমাদের কনস্যুলেট থেকে জানানো হয়েছিল যে ক্রিসানকে ট্রফির মধ্যে থাকা মাদকের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে।’