চর্চা চলছেই রূপঙ্কর বাগচিকে নিয়ে। কেকে’র মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে তাঁকে নিয়ে রূপঙ্করের ফেসবুক পোস্ট এখনও বিতর্কের কেন্দ্রে। কিন্তু সেই পোস্ট আর রাখবেন না। সাংবাদিক বৈঠক করে রূপঙ্কর জানালেন, তিনি নিঃশর্ত দুঃখ প্রকাশ করছেন।
শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হন রূপঙ্কর। সেখানেই বলেন, ‘প্রথমেই কেকে’র পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার যে ভিডিয়োটি গত ক'দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া ও তার বাইরে এত বিরামহীন উত্তেজনার উপাদান দিয়েছে, এখানে আসার আগে সেটি ফেসবুক থেকে ডিলিট করলাম। পরলোকগত গায়কের পরিবারের কারও সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। কিন্তু আপনাদের মাধ্যমে তাঁদের আবার জানাচ্ছি, আমি আন্তরিক দুঃখিত। কেকে আজ যেখানেই থাকুন ,ঈশ্বর যেন ওঁকে শান্তিতে রাখেন।’
এর পরে রূপঙ্কর বলেন, ‘গায়ক হিসেবে দেশে বিদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। স্বীকৃতি পেয়েছি নানা স্তরে। মুহূর্তের অসতর্কতা যে এমন গনগনে এবং মারমূখী আবেগ বয়ে আনবে কে জানত? এত ঘৃণা, এত আক্রোশ, এত বিরোধিতা— কিন্তু অনেকটাই তৈরি হল আমার বক্তব্য আমি ঠিকমতো গুছিয়ে বলতে না পারায়।’
একই কথা সাংবাদিক বৈঠকের শেষে তাঁর বয়ান হিসাবেও সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সখানে রূপঙ্কর লিখেছেন, ‘প্রয়াত কেকে সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত কোনও বিদ্বেষ নেই। থাকার প্রশ্নও ওঠে না। আমি শুধু ওর কনসার্ট নিয়ে তৈরি হওয়া উন্মাদনা লক্ষ্য করে বলতে চেয়েছিলাম বাঙালি গায়কদের জন্যও আপনারা একইরকম দরদ দেখান।’
রূপঙ্কর এর পরে বলেন, ‘একই সঙ্গে আরও কিছু সমযোদ্ধার নাম করেছিলাম, যাঁদের ট্যালেন্ট আমার মতে জাতীয় পর্যায়ের। পরে মনে হয়েছে নামগুলো বলার আগে জিজ্ঞেস করে নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আবার বলি এককভাবে ইস্যুটা দেখিনি। কেকে’র মতো ভারতবিখ্যাত পারফরমারের নামটা নিছক প্রতীক ছিল। নিছক উপলক্ষ্য। লক্ষ্য কখনও তিনি ছিলেন না। থাকার প্রশ্নও নেই।’
শেষে বাঙালি গায়ক বলেন, ‘কে জানত, চরম দুর্ভাগ্য কেকে’র জন্য এইভাবে ওঁৎ পেতে রয়েছে। একজন প্রথিতযশা শিল্পী কলকাতার মঞ্চে গাইতে এসে এভাবে প্রাণ হারালেন সেটা খুব হৃদয় বিদারক।’
‘আমি আজ আপনাদের কারো সঙ্গে আলাদা করে কথা বলছি না। পরে নিশ্চয়ই বলবো। কিন্তু আজ সেই দিন নয়। আপনাদের কাছে মার্জনা চাইছি আগাম।’ এটি বলেই বেরিয়ে যান তিনি।