কঙ্গনা রানাওয়াতের চড় কাণ্ড অতীত। আপাতত চর্চায় তৃণমূলের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর এক রেস্তোরাঁর মালিককে মারধর করার খবর। শুক্রবারই জানা যায় যে, সাপুরজির একটি রেস্তোরাঁয় ‘ফেলু-বক্সী’র দ্বিতীয় শেডিউলের শ্যুটিং সারছিলেন অভিনেতা। সেখানে পরিস্থিতি হঠাৎই চলে যায় হাতের বাইরে। রেস্তোরাঁর কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে সোহমের কর্মীরা। মালিককে মারার কথা সোহম নিজেও স্বীকার করে নিয়েছেন।
ঠিক কী থেকে লাগে ঝামেলা? রেস্তোরাঁর মালিক আলম জানালেন পার্কিংকে নিয়ে সব ঝামেলার সূত্রপাত। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, ‘রেস্তোরাঁ আমার। দু তিন দিন আগে সোহম এখানে শ্যুট করবে বলে এসেছিল। ম্যানেজার আমাকে বললে, আমি অনুমতি দেই। কোনও পয়সা নেব না বলেও জানাই। সেদিন সকালে এসেছি। দেখলাম রেস্তোরাঁর সামনে ওদের গাড়ি ভর্তি। আমি বললাম, আমার একটা গেস্ট আসবে, তাঁর পার্কিংয়ের অন্তত ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। সোহমের যিনি নিরাপত্তারক্ষী তিনি বলেছেন, আমরা পুলিশ। কোনও গাড়ি সরবে না। আমি তাতে বলি, বাবু আমার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। একটা গাড়ির জায়গা দিচ্ছি। তোমরা সরিয়ে নাও।’
আরও পড়ুন: ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খিস্তি’, রেস্তোঁরার মালিককে কষিয়ে ৪টে চড় তৃণমূল বিধায়ক সোহমের!
‘ওঁর যে স্টাফ, তাঁরা আমার স্টাফদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর ওরা আমার স্টাফদের গায়ে হাত তোলে। আমি সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে হাত জোড় করে বলি, ঝামেলা কোরো না। মিটিয়ে নাও। লোকাল থানায় ফোন করো। ওদের একজন এসে আমার জামার কলার ধরে বলছে, জানিস সোহম হচ্ছে অভিষেকের বন্ধু। আমি তাতে বলি, অভিষেক না মোদী কার বন্ধু আমার জানার দরকার নেই। এসবে আমি যাব না। তোমরা শুধু একটা গাড়ি সরিয়ে নাও। তাতে ওরা রীতিমতো একএক করে আমাদের স্টাফদের ধরে মারতে শুরু করে। এমন অবস্থায় সোহম উপর থেকে উঠে এসে আমার কলার ধরে এখানে (চোখ দেখিয়ে) এসে একটা ঘুষি মারল। তারপর একটা লাথি মারল। এই সমস্ত কিছুর ভিডিয়ো ফুটেজ আছে আমার কাছে।’, আরও জানালেন আলম।
আরও পড়ুন: বেরিয়ে এসেছে থলথলে পেট, মোটা মুখ! এ কেমন চেহারা কার্তিক আরিয়ানের
রেস্তোরাঁ মালিকের অভিযোগ, পুলিশ থেকে শুরু করে টিএমসি-র বিধায়ক তাঁকে রীতিমতো হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘লোকাল থানা আমাকে বসিয়ে রেখে, একটা সাদা কাগজে লিখিয়ে নিল, আমার কোনও অভিযোগ নেই কারও ওপর। না হলে ওরা আমার রেস্তোরাঁ বন্ধ করিয়ে দেবে। সোহমও আমাকে রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকি দিয়ে গিয়েছে। এরকম যদি একজন জনপ্রতিনিধির অবস্থা হয়, তাহলে কী হবে দেশের।’
আরও পড়ুন: মিডিয়া টাইকুন, রামোজি গ্রুপের চেয়ারম্যান, রামোজি রাও প্রয়াত! ৮৭ বছরে না ফেরার দেশে
কী বক্তব্য সোহমের:
সোহম জানিয়েছেন তিনি রেগে গিয়ে চড় থাপ্পড় মেরেছেন একথা ঠিক। অভিনেতা বলেন, ওই রেস্তোরাঁর মালিক তাঁকে খিস্তি করেছে। সর্বোপরি তাঁর নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগালি করেছে। তাতেই মেজাজ হারান তিনি। সোহম বলেন, ‘দিনের শেষে আমিও মানুষ। তাঁর প্রতিফলন হয়েছে। আমি যেটুকু দেখলাম, ওঁরা আমার স্টাফদের সঙ্গে মারামারি করছে, ধাক্কাধাক্কি করছে। অন-ডিউটি পুলিশ অফিসারদের মেরেছে। এমন পরিস্থিতি… আমি নীচে এসে জিগ্গেস করি, কী হয়েছে। মালিককে বলি… সে তো বলে কে এমএলএ আমার জানার দরকার নেই! আমাকে খিস্তি করেছে, সর্বোপরি আমার নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগালি করেছে।’