নব্বইয়ের দশকে বলিউডে রাজ করেছেন রবিনা ট্যান্ডন। হিন্দি সিনেমায় তাঁর কেরিয়ার নজরকাড়া। সম্প্রতি ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২’তেও নজর কেড়েছেন এই বলি সুন্দরী। বক্স অফিসে শোরগোল ফেলেছে এই ছবি। ১৯৯১ সালে ‘পাথ্থর কে ফুল’ ছবির সঙ্গে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল রবিনার। ফিল্মি পরিবারে জন্ম রবিনার, তাঁর বাবা রবি ট্যান্ডন ছিলেন জনপ্রিয় ফিল্মমেকার। তবে স্বজনপোষণের কোনওরকম ফায়দা উঠাতে পারেননি রবিনা। তাঁর কথায়, ‘আমি প্রহ্লাদ কক্করের অফিসে একজন ইটার্ন হিসাবে কাজ শুরু করেছিলাম’।
শুরুর দিকে ঠিক কী কাজ করতে হত রবিনাকে? অভিনেত্রী জানিয়েছেন তাঁর দায়িত্ব ছিল স্টুডিওর ফ্লোর পরিষ্কার করা। বড় হয়ে অভিনেত্রী হব, এমন চিন্তাভাবনা ছোট থেকে ঘর করেনি রবিনা মনে। ভাগ্যই ঠিক করে দিয়েছিল রবিনার কেরিয়ার, এমনটাই মনে করেন তিনি।
মিড-ডে'কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে রবিনা জানান, ‘এটা একদম ঠিক কথা। আমি শুরু করেছিলাম স্টুডিওর ফ্লোর পরিষ্কার করবার ডিউটি দিয়ে। মেঝে থেকে বমি পরিষ্কার করা থেকে বাকি সব করেছি। ক্লাস ১০-এ যখন পড়ি, সেই সময় থেকে আমি প্রহ্লাদ কক্করের সহযোগী হিসাবে কাজ করেছি। সেইসময় অনেকে বলত, তুমি ক্যামেরার পিছনে কেন? তোমার উচিত ক্যামেরার সামনে এসে কাজ করা। আমি জবাব দিত, আমি আর অভিনেত্রী? কোনওদিন নয়। আমি কিন্তু এই ইন্ডাস্ট্রিতে হিরোইন হতে পা রাখিনি’।
রবিনা জানান ইন্টার্নশিপ করবার সময় যখনই কোনও মডেল সময়ে পৌঁছাতো না, প্রহ্লাদ কক্কর তাঁকে দেখে পাঠাতেন এবং নির্দেশ দিতেন পোজ দেওয়ার। সেই থেকে রবিনা স্থির করেন, বার বার বিনা পয়সার কাজ করবার চেয়ে এবার পেশাদার মডেল হিসাবে কাজ শুরু করা উচিত। মডেলিং শুরু করেই ছবির অফার হাতে আসতে থাকে এই সু্ন্দরীর। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি না জানতাম অভিনয়, না জানতাম নাচ, তা সংলাপ বলবার কোনও অভিজ্ঞতা ছিল। আমাকে সবটা শিখতে হয়েছে’।
‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২’-এ প্রধানমন্ত্রী রামিকা সেন হিসাবে নজর কেড়েছেন রবিনা। পরবর্তীতে তাঁকে দেখা যাবে ‘ঘুড়চড়ি’ (Ghudchadi) ছবিতে।