পরবর্তী খবর
সব গুঞ্জন নস্যাৎ করে ভাই মুকুল দেবের মৃত্যুর আসল কারণ নিয়ে মুখ খুললেন রাহুল!
1 মিনিটে পড়ুন . Updated: 16 Jun 2025, 04:56 PM IST
Share 
বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > সব গুঞ্জন নস্যাৎ করে ভাই মুকুল দেবের মৃত্যুর আসল কারণ নিয়ে মুখ খুললেন রাহুল!
Share
অভিনেতা মুকুল দেবের আকস্মিক মৃত্যুতে পুরো ইন্ডাস্ট্রিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে, তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ব্যাপক জল্পনাও শুরু হয়েছিল। সম্প্রতি মুকুলের ভাই অভিনেতা রাহুল দেব তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে কিছু তথ্য ভাগ করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'ওঁর সব কিছু আমি…', অবশেষ কি বিজয়ের সঙ্গে প্রেমে গুঞ্জনে সিলমোহর দিলেন রশ্মিকা?
অনেকেই অনুমান করেছিলেন ডিপ্রেশ হয়ে পড়েছিলেন মুকুল আর সেখান থেকেই মৃত্যু, তবে রাহুল জানান তা নয়, মুকুলের মৃত্যুর জন্য তাঁর খারাপ খাদ্যাভ্যাস খানিকটা দায়ি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, রাহুল তাঁর ভাই মুকুলের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে মুখ খুলেছেন। রাহুল বলেন, ‘তিনি সাড়ে আট দিন ধরে আইসিইউতে ছিলেন। তাঁর চিকিৎসা চলছিল। এটা তাঁর খারাপ খাদ্যাভ্যাসের ফলাফল। গত চার-পাঁচ দিনে, তিনি একেবারেই খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তিনি একাকিত্ব বোধ করতেন। জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন...। তিনি বেশ কয়েকটি কাজের প্রস্তাব পেয়েও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ওঁর মৃত্যুর পর সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার পরে, বাস্তবতা আরও গভীর হচ্ছে এবং আমি জানি ব্যথা আরও গভীর হবে।’
আরও পড়ুন: বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দেখা করতে এলেন ভক্তরা, ‘এই ভালোবাসাকে আটকানোর শক্তি…’, আবেগে ভাসলেন অমিতাভ
তিনি জানান যে, মুকুল ২০১৯ সালে দিল্লিতে চলে এসেছিলেন তাঁদের বাবার দেখাশোনা করার জন্য। বাবাও চলতি বছরেই মারা গিয়েছেন। তাদের মা ২০২৩ সালে মারা গিয়েছেন। রাহুলের জানান, মুকুল লেখালেখি করতেন শেষ দিকে। পাশাপাশি একাকিত্বেও ভুগছিলেন। তিনি জানান যে, তাঁর ভাই তাঁর মেয়েকে খুব মিস করতেন। তিনি আরও জানান যে, তিনি নিজের যত্নও নিচ্ছিলেন না। একা থাকা তাঁর জন্য আরও ক্ষতিকর হয়ে উঠেছিল।
মুকুলের মৃত্যুর পর, বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে, তিনি ডিপ্রেশনের সঙ্গে লড়াই করছিলেন, রাহুল এই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। রাহুল বলেন, ‘যাঁরা এখন কথা বলছেন তাঁরা ওঁর সঙ্গে একটা সময় যোগাযোগও করেননি। তাঁরা বলেন যে ও অযোগ্য ছিল, কিন্তু ও হাফ-ম্যারাথন দৌড়েছে। হ্যাঁ, ওঁর ওজন বেড়ে গিয়েছিল। যখন কেউ নিজের যত্ন নেওয়া বন্ধ করে দেয়, তখন দেখা যায়… ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে কারা আসলে ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল? ও যখন হাসপাতালে ছিল তখন কি ওঁরা ওঁকে দেখতে গিয়েছিলেন, নাকি ওঁর প্রার্থনা সভায় যোগ দিয়েছিলেন?’
