একদিন ফতেমার বাবা চলেও গেলেন। আর মা তো সেই ছোটতেই…। অসহায় ফতেমার পাশে দাঁড়ান পুরোহিত সাধন ঠাকুর। তাঁর বাড়িতেই আশ্রয় পেল সে। পুরোহিতকেই দাদা পাতাল ফতেমা, সাধন ঠাকুরকে ভাইফোঁটাও দিল সে। আর তাতেই অশান্তির আগুনে জ্বলে উঠল গোটা গ্রাম।
রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়
ফতেমা ভেবেছিল পড়াশোনা করে সরকারি চাকরি করবে, বাবার সমস্ত কষ্ট দূর করবে। তবে ভাবাই বৃথা। হঠাৎই প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর ফতেমার বাবার রিকশা চালানো বন্ধ হয়ে যায়। পড়াশোনাও বন্ধ হয় ফতেমার। তারপর একদিন ফতেমার বাবা চলেও গেলেন। আর মা তো সেই ছোটতেই…। অসহায় ফতেমার পাশে দাঁড়ান পুরোহিত সাধন ঠাকুর। তাঁর বাড়িতেই আশ্রয় পেল সে। পুরোহিতকেই দাদা পাতাল ফতেমা, সাধন ঠাকুরকে ভাইফোঁটাও দিল সে। আর তাতেই অশান্তির আগুনে জ্বলে উঠল গোটা গ্রাম।
এমনই এক গল্প নিয়ে সামনে এল রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি 'ফতেমা'র ট্রেলার। তাতে দেখা গেল, কেন মুসলিম মেয়ে ফতেমাকে হিন্দু পুরোহিত হয়ে আশ্রয় দিয়েছেন সাধন ঠাকুর? এত স্পর্ধা! শুরু হল ধর্মীয় টানাটানি, কট্টরপন্থীদের নোংরামি। ধর্ম কি সত্য়িই মানুষের মধ্যে ভেদাভেদের কথা বলে? তবে সকলেই মন্দ নন, মুসলিম মৌলবী বললেন, 'ইসলামী শরিয়ত শান্তির কথা বলে…'। সাধন ঠাকুরও বিবেকানন্দের কথা টেনে বললেন, ‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।’ তবে কে কার কথা শোনে, মন্দ লোককে বোঝানো বড়ই দায়! কারণ তাঁরা নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই বোঝেন না।