সারমেয় চিকু-র মৃত্যুকে এখনও ভুলতে পারছেন না মিমি চক্রবর্তী। চারপেয়ে সন্তানের সঙ্গে যেন তাঁর জীবনের একটা অংশ মুছে গিয়েছে। চিকুর স্মৃতিতে প্রায়ই ইনস্টাগ্রামে ছবি দিচ্ছেন মিমি চক্রবর্তী। মঙ্গলবারও তাঁকে চিকুর কবরে হাজির থাকতে দেখা গিয়েছিল। সাদা পোশাক, কান্না ঢাকতে চোখে কালো রোদ-চশমা। ছেলের পছন্দের খাবারের থালা সাজিয়ে দিয়েছিলেন কবরে। রজনীগন্ধার মালা, লাল গোলাপে সাজানো কবরে ধূপ জ্বালিয়ে চিকুর আত্মার শান্তি কামনা করেন। সে ছবিও নিজের ইনস্টা স্টোরিতে ভাগ করে নিয়েছিলেন মিমি।
কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদের এভাবে ‘কুকুরের স্মৃতি রোমন্থন’ মেনে নিতে পারছেন না কিছু মানুষ। পার্লামেন্টের মেম্বার হয়ে, উনি শুধুমাত্র কীভাবে কুকুরের স্মৃতি রোমন্থনে ব্যস্ত থাকতে পারেন প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে। এক ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রশ্ন তুলেছেন, ‘ওনার constituency তে Bed oxygen medicine এর অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে কাতারে কাতারে… উনি কুকুরের স্মৃতি রোমন্থনে ব্যস্ত… এরা কি মানুষ ???’

যদিও পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এখনও সেভাবে মুখ খোলেননি সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় নায়িকার নিজের বা পোষ্যদের ছবি চোখে পড়লেও কোভিড সংক্রান্ত কোনও পোস্ট নেই। আর সেটাতেই হয়তো বিরক্ত সাধারণ মানুষ। তারকা সাংসদ হিসেবে এই বিপর্যয়ের দিনে মানুষের পাশে থাকাবেন এই আশা ভঙ্গ হওয়াতেই হয়তো এই নেগেটিভ পোস্ট!
তবে, মিমির পক্ষ সমর্থন করেছেন অনেককেই। বাড়িতে পোষ্য থাকা মানে সে পরিবারের সদস্য। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত হওয়ার অধিকার রয়েছে সকলের। একজন তারকা-সাংসদেরও। তবে, সে সঙ্গে একজন জননেতা হিসেবে তাঁর যে কর্তব্য সেটাও করা উচিৎ তা একবাক্যে মেনে নিয়েছেন অনেকই।