তাঁর কথায়, ‘তখন ওই কাজটার জন্যই আমি গয়না বন্ধক দিয়ে টাকা জোগাড় করেছিলাম। ভেবেছিলাম, কাজ করে টাকা পেলে গয়নাটা ফিরিয়ে আনব। তবে আমি ভীষণই দুর্বল, এমন অভিযোগা আমাকে কাজ থেকেই তাড়িয়ে দেওয়া হল।’
নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি
বর্তমানে অভিনয় দুনিয়ার পরিচিত নাম। সিনেমার দুনিয়ায় দক্ষ অভিনেতা হিসাবে বিশেষ খ্যাতি রয়েছে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির। মুম্বইয়ের মতো শহরেও গাড়ি, বাংলো সবই রয়েছে তাঁর। তবে কেরিয়ারের শুরুটা ঠিক এমন ছিল না নওয়াজের। তখনও তিনি প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা হননি। এক খেলনা কারখানায় নিরাপত্তাকর্মী হিসাবেও কাজ করেছেন যে অভিজ্ঞতা নওয়াজের কাছে মোটেও সুখকর ছিল না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কেরিয়ারের শুরুর দিকে সেই কঠিন দিনের কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন নওয়াজ। তাঁর কথায়, ‘তখন ওই কাজটার জন্যই আমি গয়না বন্ধক দিয়ে টাকা জোগাড় করেছিলাম। ভেবেছিলাম, কাজ করে টাকা পেলে গয়নাটা ফিরিয়ে আনব। তবে আমি ভীষণই দুর্বল, এমন অভিযোগা আমাকে কাজ থেকেই তাড়িয়ে দেওয়া হল।’
নওয়াজের কথায়, ‘অথচ ওই নিরাপত্তাকর্মীর চাকরিটার জন্য আমাকে কম কষ্ট করতে হয়নি। ভরা গরমে, তীব্র রোদে কারখানার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতাম। তীব্র গরমে আমি দু'বার অজ্ঞান হয়ে যাই আর ঘটনাচক্রে সেটা মালিকের চোখের পড়েছিল। আর তারপরই কাজ থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়।’
এদিকে সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবনেও কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে কাটছে নওয়াজের। স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকির সঙ্গে তাঁর আইনি লড়াই জারি রয়েছে। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে দুই সন্তান সহ তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ আনেন আলিয়া সিদ্দিকি। আবার নওয়াজের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তাঁর নিজের ভাই শামস নবাব সিদ্দিকিও। দীর্ঘ নিরাবতার পর সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মুখও খুলেছেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, তিনি এবং আলিয়া একসঙ্গে থাকেন না তা বেশ কয়েক বছর হল, তঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছএ। সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়েই শুধু এতদিন নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার মধ্যে ছিলেন। নওয়াজের কথায়, গত ৪৫ দিন ধরে তাঁর ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে না, যেকারণে দুবাইয়ের স্কুল থেকে চিঠি এসেছে একাধিকবার। নওয়াজের কথায় কোনও অভিভাবক কি চাইবেন, সন্তানের পড়াশোনা বাধা আসুক! তাঁর কথায়, তিনি যা রোজগার করছেন তা সবই দুই সন্তানের জন্যই। দুই সন্তান শোরা এবং ইয়ানকে ভালোবাসেন এবং তাঁদের ভালোর জন্য পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে যেতে পারেন বলেও জানান নওয়াজ। সবশেষে নওয়াজের দাবি ভালোবাসা মানে কাউকে সঠিক পথে উড়তে দেওয়া, কাউকে আটকে রাখা নয়।