‘রেপটা মিমির সঙ্গে হলে ভালো হত…’, ‘মিমিকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দে…’, সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই সব কদর্য মন্তব্যের ছয়লাপ! আরজি কর কাণ্ডের আবহেই প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমিকে এহেন হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমে প্রতিবাদ জানান মিমি।
মিমিকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার পিছনে রয়েছে একটি ঘোষণা। আরজি কর নির্যাতিতকাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আর সেই টাকার অঙ্ক টেনেই মিমির পোস্টে মন্তব্য করা হয়। মিমি বরাবরই স্পষ্টবাদী, ডাকাবুকো। তিনি জানিয়েছিলেন, শেষ দেখে ছাড়ব! জানিয়ছিলেন, সাইবার দমন শাখায় অভিযোগ জানাবেন তিনি।
মিমির অভিযোগের পরই নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেই আপডেট এক্স হ্যান্ডেলে ভাগ করে নিলেন মিমি। যাদবপুরের প্রাক্তন সাংসদ জানান, ‘ধর্ষণের হুমকি প্রসঙ্গে আপটেড…. সাইবার ক্রাইম বিভাগের সাহায্যে এই প্রসঙ্গে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ওই সকল অ্যাকাউন্টগুলো ডি-অ্যাক্টিভেট করা হয়েছে চিরতরের জন্য। পুলিশ চেষ্টা করছে দুজন প্রধান অভিযুক্তকে খুঁজে বার করতে, কারণ তারা সব কমেন্ট মুছে আপতত ইনকগনিটো মুডে চলে গেছে'।
এর আগে ধর্ষণের হুমকির স্ক্রিনশট শেয়ার করে ‘বোঝে না সে বোঝে না’ অভিনেত্রী লিখেছিলেন, ‘আমরা কী এই কারণেই লড়ছি? আমরা একজন মহিলার জন্য বিচার চাইছি তাই না? ধর্ষণের হুমকি দেওয়াটা যেন জলভাত হয়ে গেছে। এরাই আবার ভিড়ের মধ্যে মিশে বলছেন, মেয়েদের পাশে রয়েছেন! এটা কোন ধরনের শিক্ষা?’
দোষীরা যাতে অভিযুক্ত শাস্তি পায়, মিমিকে সেই অনুরোধ জানিয়েছে অনুরাগীরা। এর আগে মিমি আক্ষেপের সুরে জানিয়েছিলেন, 'একজন মহিলাকে আক্রমণ করার ভাষাই এখন ধর্ষণের ভাষা। কথায় কথায় ধর্ষণের হুমকি! এর শেষ দেখে আমি ছাড়ব।’
প্রসঙ্গত, মিমিকে শেষ পর্দায় দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের ছবি তুফানে। ওপার বাংলায় এই ছবি হিট হলেও কলকাতায় মুখ থুবড়ে পড়ে।