রবিবারই করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা গালিফলিতর অভিযোগ খারিজ করে খোলা চিঠি লিখেছিলেন কনিকা কাপুর। চব্বিশ ঘন্টা পরা করার আগেই এই মামলায় কনিকাকে নোটিস ধরাল লখনউ পুলিশ। এদিন কনিকার লখনউয়ের বাসভবনে গিয়ে গায়িকাকে নোটিস দেয় সরোজিনীনগর থানার পুলিশ।আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে থানায় এসে নিজের বয়ান রেকর্ড করাতে হবে শিল্পীকে।গত ২০শে মার্চ দেশের প্রথম হাইপ্রোফাইল করোনা আক্রান্ত হিসাবে কনিকা কাপুরের নাম সামনে আসে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ লন্ডন থেকে ফিরে প্রয়োজনীয় সর্তকতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করেননি কনিকা। আইসোলেশনে না থেকে ঘুরে বেরিয়েছেন এক শহর থেকে অন্য শহর। লখনউ পুলিশ, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে আইপিসির ১৮৮,২৬৯ এবং ২৭০ ধারায় কনিকার বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক থানায় এফআইআর দায়ের হয় ২০শে মার্চ। এদিন পুলিশ অফিসার জেপি সিংয়ের নেতৃত্বাধীন একটি দল কনিকাকে নোটিস পৌঁছে দেয়, জানা গিয়েছে নিজের হাতেই সেই নোটিস গ্রহণ করেছেন শিল্পী। কৃষ্ণ নগরের এসিপি দীপক কুমার জানিয়েছেন 'কনিকা কাপুর তাঁর বয়না রেকর্ড করবার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে'। পুলিশ সূত্রে খবর, কনিকা নোটিস গ্রহণ করে জানিয়েছেন নিজের আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই বয়ান রেকর্ড করবেন তিনি। সরোজিনী নগরের পাশাপাশি হজরতগঞ্জ ও গোমতিনগর থানাতেও কনিকার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে যেহেতু সেই দুই থানার অধীনস্থ জায়গাতেও ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে কনিকাকে।গত ১০ মার্চ ইউকে থেকে মুম্বইয়ে ফিরেন কনিকা। পরের দিন পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে লখনউ পৌঁছান। ১৪ ও ১৫ মার্চ লখনউয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন বেবি ডল খ্যাত গায়িকা। ১৭ মার্চ তাঁর শরীরে প্রথম করোনার উপসর্গ দেখা যায়। ১৯ তারিখ তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হয়, এবং পরের দিন রিপোর্ট পজিটিভ আসে।একটানা ১৬ দিন করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করবার পর ৬ এপ্রিল সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন কনিকা। গতকাল নিজের করোনা জয়ের অভিজ্ঞতা এবং তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খন্ডন করে খোলা চিঠি লিখলেন কনিকা কাপুর। লেখেন, 'গোটা বিষয় সম্পর্কে অনেকরকমের তথ্য সাংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এসেছে কিন্তু এতদিন তিনি বেশকিছু কারণে চুপ করে ছিলেন। তিলি বলেন, আমি দোষ করেছি বলে চুপ ছিলাম তা নয়,আমি জনতাম সত্যিটা সামনে আসবেই এবং মানুষ নিজেরাই উপলব্ধি করবে(সত্যিটা)। আমি আমার পরিবার, বন্ধু এবং অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে এই সময়টা দেওয়ার জন্য। আমি এখন লখনউতে আমার বাড়িতে রয়েছি। ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য, মুম্বই এবং লখনউতে আমি যে সকল মানুষের সংস্পর্শে এসেছি তাঁদের কারুর দেহেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। সবার নমুনার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে'। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে কনিকার সংস্পর্শে আসা কোনও ব্যক্তি করোনা পজিটিভ না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের যথাযথ রাস্তা নেই পুলিশের কাছে। সেইদিক থেকে চিন্তার কোনও কারণ নেই এই তারকা সঙ্গীতশিল্পীর।