কপাল জোরে প্রাণে বাঁচলেন অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য! হ্যাঁ, কথার শ্যুটিং সেরে ফেরার পথে শুক্রবার রাতে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন অভিনেতা। নিজের গাড়ি নয়, সহকারীকে নিয়ে অ্যাপ ক্যাবে করে ফিরছিলেন সাহেব। জেমস লং সরণির কাছে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উলটে যায় সেই গাড়ি, কাজ করেনি গাড়ির এয়ারব্যাগ।
অভিনেতা অক্ষত থাকলেও চোট পান তাঁর সহকারী। স্থানীয়রা গাড়ির দরজা ভেঙে অভিনেতাকে উদ্ধার করেন। গোটা ঘটনায় চোট না পেলেও আতঙ্কিত সাহেব। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সেই হাড়হিম করা অভিজ্ঞতার কথা জানালেন নায়ক। তিনি বলেন, ‘গতকাল ১০-১০.৩০টার সময় আমি অ্যাপ ক্যাবে ফিরছিলাম। শুরু থেকেই ড্রাইভার খুব বিশ্রিভাবে গাড়িটা চালাচ্ছিল। জেমস লং সরণির কাছে একটা ডিভাইডারে ধাক্কা মারার পর ১৮০ ডিগ্রিতে ফ্লিপ করে গাড়িটা, পুরো উলটে যায়। যথেষ্ট স্পিডে ছিল, কমপক্ষে ৮০ কিমি/ঘণ্টা তো হবেই। তারপর বেশ কয়েক মিটার হেঁজড়াতে হেঁজড়াতে গাড়িটা গিয়েছে ওই অবস্থায়।’
শহর কলকাতার আবেগ এখনও মরেনি। স্থানীয় যুবকদের প্রশংসা করে অভিনেতা বলেন, ‘ওঁরা গাড়িটা সোজা করে, আমাকে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে। আমার ঘাড়ে, হাতে সামান্য চোট লেগেছে। এমনিতে আমি অক্ষত। যদিও অ্যাসিস্ট্যান্ট ফারুকের খুব চোট লেগেছে। ওর সারা গায়ে কাচ বিঁধে গিয়েছে। স্থানীয়রাই আমাদের কাছের একটা হাসপাতালে নিয়ে যায়, ওখানে আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ফারুক আজ ছাড়া পেয়েছে’।
সাহেব বলেন, দুর্ঘটনার পর নিজের দুটো আইফোন-সহ সব জিনিসই এদিক-ওদিক হয়ে গিয়েছিল। তবে স্থানীয়রা দায়িত্ব নিয়ে সবকিছু অভিনেতার কাছে পৌঁছে দিয়েছে। যা দেখে অভিভূত অভিনেতা। বললেন, ‘আমাদের কলকাতা শহরের স্পিরিট আগের মতোই রয়েছে। ওঁদের সহমর্মিতায় মুগ্ধ, মানুষগুলো ঝাঁপিয়ে পড়ে সাহায্য করল’। তবে এই ঘটনা আরও একবার শহরে অ্যাপ ক্যাবের দৌরাত্ম্য আর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল বলে জানান সাহেব।
তিনি যোগ করেন, ‘এয়ারব্যাগগুলো কাজ করেনি। হয়ত বাতিল গাড়িগুলো অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলো ব্যবহার করে। সেগুলো খোঁজ নেওয়ার কেউ নেই। শহরে যাত্রী সুরক্ষা কিন্ত প্রশ্নের মুখে। ড্রাইভারের সিটটা তো পুরো ভেঙে বেরিয়ে গেছে।’ ঘাতক গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ, পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে ড্রাইভারটিকে। সাহেব জানান, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গোটা বিষয়টি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট অ্য়াপ ক্যাব সংস্থায় অভিযোগ জানাবেন তিনি।