বেশ কয়েক বছর আগে করা কৃষক আন্দোলন নিয়ে মন্তব্যের কারণেই বিড়ম্বনা। সাংসদ নির্বাচন হতে না হতেই CISF মহিলা জওয়ানের হাতে চড় খেয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয় চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে ঘটা সেই ঘটনার বিষয়ে এবার বিবৃতি দিয়ে জানালেন কঙ্গনা রানাওয়াত। অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে কঙ্গনা জানিয়েছেন, তিনি সুস্থ আছেন, অক্ষত আছেন।
কঙ্গনার প্রতিক্রিয়া
কঙ্গনার মনে করছেন, CISF অফিসারে ওই কাজটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতেই পারে। ঠিক কী লিখেছেন কঙ্গনা?
'এই বিষয়টা আমার কাছে সবচেয়ে অর্থবহ। ওই জওয়ান কৌশলে আমার জন্য অপেক্ষা করে ছিলেন, যে আমি কখন তাঁর সামনে দিয়ে যাব? ঠিল খালিস্তানি স্টাইলে পিছন থেকে এসে কোনও কথা না বলে আমার মুখে উনি আঘাত করেন। যখন আমি জিগ্গেস করলাম, কেন এটা করলেন? তখন তিনি অন্যদিকে তাকিয়ে নিজের দিকে ফোনের ক্যামেরা রেখে কথা বলতে শুরু করলেন। (যেমনটি আপনারাও ওঁর ভিডিওতে দেখেছেন)। উনি হঠাৎ জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কৃষক আইন বাতিল করা হয়েছে এবং সেগুলি নিয়ে আর কারও কোনও উদ্বেগ নেই। সম্ভবত এটা ছিল তাঁর খালিস্তানি ব্যান্ডওয়াগনে যোগ দেওয়ার উপায়, যা পাঞ্জাবে প্রধান রাজনৈতিক আসন পাচ্ছে।

এদিকে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের ঘটনার পর কঙ্গনা রানাওয়াত ইতিমধ্যেই দিল্লিতে NDA-র বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন।
এদিকে চড় মারার ঘটনার পর ঠিক কী পদক্ষেপ করা হয়েছে?
ইতিমধ্যেই চণ্ডীগড়ের পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) কে এস সান্ধু চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে পৌঁছে কঙ্গনা রানাওয়াতের ঘটনা নিয়ে সিআইএসএফ অফিসারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এবিষয়ে কে এস সান্ধু বলেন, CISF কমান্ড্যান্ট আমাকে ডেকেছেন, আমি তদন্তের জন্য বিমানবন্দরে যাচ্ছি। আমি CISF-এর কমান্ড্যান্টের সঙ্গে কথা বলে আপনাদের জানাব। এদিকে, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং বলেন, ‘তদন্ত চলছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা দুঃখজনক যে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কোনও ব্যক্তি এমন কাজ করলেন। যা হয়েছে তা ভুল।’
এদিকে ঘটনার পর কঙ্গনা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে প্রশ্ন তোলেন, পঞ্জাবে কীভাবে ক্রমবর্ধমান 'চরমপন্থা' ও 'সন্ত্রাসবাদ' বন্ধ করা যায়। ঘটনার পর কঙ্গনা সকলের উদ্দেশ্যএ জানান, ‘আমি নিরাপদে আছি। আমি একদম ঠিক আছি। সিকিউরিটি চেক চলাকালীন এf ঘটনা ঘটে। সিকিউরিটি চেকিং শেষ হওয়ার পর সিআইএসএফের এক মহিলা কনস্টেবল কেবিনের ভেতর দিয়ে যাওয়ার জন্য আমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। পরে সে পাশ থেকে এসে আমার মুখে আঘাত করে এবং আমাকে গালিগালাজ করতে শুরু করেন।’
কঙ্গনার কথায়, ‘ঘটনার পর আমি যখন আমি ওকে জিগ্গেস করলাম কেন তিনি এমন কাজ করলেন, তিনি আমাকে বলেছিলেন যে তিনি (সিআইএসএফ কর্মকর্তা) কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন। আমার (কঙ্গনা) প্রশ্ন হল কীভাবে আমরা পাঞ্জাবে ক্রমবর্ধমান চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদকে শেষ করব।’
এদিকে, CISF কনস্টেবল জানিয়েছেন যে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসা কৃষকদের মধ্যে তাঁর মাও ছিলেন, যা কৃষি আইন এখন বাতিল করা হয়েছে। সেসময় কঙ্গনা বলেছিলেন,, ‘কৃষকরা ১০০ টাকার জন্য বসে আছেন। তাহলে তিনিও কি সেখানে গিয়ে বসবেন? আমার মা যখন প্রতিবাদ মিছিলে ছিলেন, তখন কঙ্গনা ওই মন্তব্য করেছিলেন।’ প্রসঙ্গত পঞ্জাবে কৃষক আন্দোলন প্রায় ১৫ মাস ধরে চলেছিল। যা কৃষি আইন বাতিল হল বেশকিছু ইস্যুতে ঘটেছিল।