৭ এপ্রিল ৮২-তে পা রাখলেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা জিতেন্দ্র। আটের দশকে তাঁর অভিনয় আর নৃত্যশৈলি আপামর দর্শকের হৃদয় জয় করে নিয়েছিল। ৮২ বছরের জন্মদিনে ভালোবাসা এবং আনন্দে ঘিরে ছিলেন অভিনেতা। তাঁর ছেলেমেয়ে একতা এবং তুষার কাপুর প্রবীণ অভিনেতার জন্মদিন পার্টিতে বিশেষ আয়োজন করেছেন। দুই নাতিকে সঙ্গে নিয়ে এ দিন কেক কেটেছেন অভিনেতা।
জিতেন্দ্রর জন্মদিন সেলিব্রেশনের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় শেয়ার করেছেন তুষার কাপুর। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে ভিডিয়ো শেয়ার করে অভিনেতা লেখেন, ‘আজ বাবার জন্মদিনে আপনাদের সমস্ত শুভেচ্ছার জন্য সকলকে ধন্যবাদ! প্রত্যেকের কাছে উত্তর দেওয়া কঠিন কিন্তু প্রতিটি শুভেচ্ছা অনেক কিছু প্রকাশ করছে!’
আরও পড়ুন: কেন পর্দা থেকে সরে অন্তরালে চলে যান সুচিত্রা সেন! আসল সত্যিটা কী, একবার জানিয়েছিলেন মুনমুন
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, দুই নাতিকে কাছে রেখে কেক কাটছেন জিতেন্দ্র। পাশে দাঁড়িয়ে দুই ছেলেমেয়ে একতা-তুষার। বাবার জন্য জন্মদিনের গান গাইছেন একতা। একসময় ভার্সেটাইল অভিনেতা জিতেন্দ্রকে দেওয়া হয়েছিল 'জাম্পিং জ্যাক' তকমা। দুধ সাদা জামা-প্যান্ট ছিল বড় পর্দায় জীতেন্দ্রর আইকনিক স্টাইল। আর তাঁর এই স্টাইল স্টেটমেন্ট সেই সময় ফলো করত জেন ওয়াই।
আরও পড়ুন: চোখে গাঢ় কাজল, শিফনে শাড়িতে আবেদনময়ী লুকে মিমি, ঘুম উড়ল ভক্তদের
আটের দশকে বলিউডে একাধিক হিট উপহার দিয়েছেন দর্শককে। হিন্দি ছবির পাশাপাশি দক্ষিণী ছবিতেও তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। পেশার কারণে বেশ কয়েক মাস একটানা সাউথে থাকতে হতো সুপারস্টার জিতেন্দ্রকে। সেই সময় উইকএন্ডে স্ত্রী শোভা তাঁর দুই ছেলে মেয়ে তুষার ও একতাকে নিয়ে সেখানে আসতেন।
আরও পড়ুন: ‘আগামী দশ বছরে ১০০টি আদিবাসী স্কুল..’, দাদাগিরির মঞ্চে মধুরিমার এই গল্প শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে
বলি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম ‘হ্যাপি কাপল’ বলা হত জিতেন্দ্র এবং শোভা কাপুরকে। জিতেন্দ্রর সঙ্গে শোভার আলাপ একেবারে ছোটবেলায়। শোভা তখন ১৪, আর জিতেন্দ্র ১৬। একেবারে প্রথম দেখাতেই প্রেম। দেখা হয়েছিল মেরিন ড্রাইভে। সমুদ্রতটে। শোভা কলেজে ভর্তি হলেন। জিতেন্দ্র ছবির জগতে পা রাখলেন। বলিউডে নামডাক হতে শুরু করল জিতেন্দ্রর।
শোভা যোগ দিলেন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে। প্রতি বারই যখন তিনি ভারতে আসতেন বাড়িতে সময় কাটাবেন বলে, কোনও না কোনও নায়িকার সঙ্গে জিতেন্দ্রর সম্পর্কের খবর প্রকাশিত হত, একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন এমনটাই। তাঁর মন ভোলাতে লং ড্রাইভে নিয়ে যেতেন জিতেন্দ্র, এক সঙ্গে সময়ও কাটাতেন।
জিতেন্দ্রর সঙ্গে শোভার মনোমালিন্যও হয়। হেমা মালিনীর সঙ্গে জিতেন্দ্রর বিয়েও নাকি ঠিক হয়েছিল, বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় দৈনিকে সেই সময় প্রকাশিত হয়েছিল এমনটাই। তখন নাকি ধর্মেন্দ্র এসে পড়েন বিয়ের মণ্ডপে। তখন বিয়ে ভেস্তে যায় জিতেন্দ্র ও হেমার। এ জাতীয় কথায় সম্পর্কে অশান্তি শুরু হলেও নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে বিয়ে করেন তিনি।
৩১ অক্টোবর, ১৯৭৪ সাল। জিতেন্দ্র বিয়ে করেন শোভাকে। বাড়িতে বলেন, আর তিনি দেরি করতে চান না। কোনওরকম জাঁকজমকেরও প্রয়োজন নেই। জিতেন্দ্রর বাড়ি থেকে যদিও বলা হয়েছিল, আরও কিছু দিন পর আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের। জয়া প্রদা ও শ্রীদেবীর সঙ্গেও জিতেন্দ্রর সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল, জিতেন্দ্র তখন দুই সন্তানের বাবা। যদিও সমস্ত বিতর্ক এবং গুঞ্জনকে দূরে সরিয়ে সুখী বিবাহিত জীবন কাটিয়েছেন তাঁরা।