আগামীতে ইশা সাহাকে দেখা যেতে চলেছে অপরিচিত ছবিটিতে। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে থাকবেন ঋত্বিক চক্রবর্তী ও অনির্বাণ চক্রবর্তী। আর তার আগে টলিউডে যে একাধিক হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এবার সেই বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: শাহরুখের পড়শি হতে চললেন রণবীর-দীপিকা! মেয়েকে নিয়ে কবে শিফট করছেন ১০০ কোটির নতুন বাড়িতে?
টলিউডে নিজেকে কতটা নিরাপদ মনে করেন ইশা?
এদিন এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ইশা সোলকানেকশন পডকাস্ট শোতে বলেন, 'আমি বললে বিশ্বাস করবে কেউ? আমার মনে হয় না। কারণ সবাই এখন খুঁত বের করে।'
এরপর তিনি নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, 'আমি যথেষ্ট সেফ ছিলাম, আছি। এই ইন্ডাস্ট্রি থেকে আমি বিলং করি না। আমি একজন আউটসাইডার। কিন্তু আমি যাদের সঙ্গে কাজ করেছি তাঁরা সেফ ফিল করিয়েছেন। আমার প্রথম কাজ ৮ মাসের জন্য একটা টিভি ছিল। মহিলা ডিরেক্টর ছিলেন। পুরুষদের কেন সবসময় দোষ দিয়ে দেওয়া হয়? মহিলারাও তো করতে পারেন। শারীরিক ক্ষতি না করেও, মানসিক ক্ষতি করতে পারে। এরম হয়েছে। এমন প্রচুর সহ-অভিনেত্রী আছেন, সিনিয়র অভিনেত্রী আছেন, সবাই বলব না। কিন্তু আছেন। এঁরা নতুনদের মানসিক ভাবে ক্ষতি করেন। কিন্তু কেউ এটাকে আলাদা করে দেখেন না। ভাবেন আচ্ছা এটা তো হয়। এটাও একটা শেখার ব্যাপার। প্রথম কাজে মহিলা পরিচালক ছিলেন বলে অসুবিধা হয়নি। নিরাপদ ছিলাম। কিন্তু তাও সহ-অভিনেত্রীদের থেকে অসুবিধা পেয়েছি। কিন্তু মুখ খুলতে পারিনি যেহেতু নতুন ছিলাম, সময় পেতাম না, প্রচুর কাজ থাকত।'
আরও পড়ুন: ছেড়েছেন কবিতা লেখা, এবার ক্যামেরার সামনে ধরা দিলেন জয় গোস্বামী! কোথায় দেখা যাচ্ছে সেই শর্টফিল্ম?
একই সঙ্গে ইশা বলেন, 'এরপরের কাজ আমার অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে ভীষণ ভদ্রলোক যে কজন আছে তাঁদের একজন। দ্বিতীয় কাজ গুপ্তধন। আবির দা আর অর্জুন। ফলে ওখানেও কিছু ঘটেনি। হওয়ার কথাও না। ওরা দুজনেই এই ইন্ডাস্ট্রির, আমি বাইরের কিন্তু কখনও সেটা মনে করতে দেয়নি। তৃতীয় কাজ সোয়েটার। খরাজ দা। এঁদের সঙ্গে কাজ করেছি, কী করে বলব যে আমি নিরাপদ ছিলাম না। আমি এত বছর কাজ করছি, কিন্তু কখনও এমনটা ফেস করিনি। মহিলারা বরং রুঢ় কথা বলেন, মানসিক আঘাত করেন।'