আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপরই নতুন ছবি নিয়ে পর্দায় আসছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এবার তাঁর সঙ্গী হয়েছেন ইশা সাহা এবং গৌরব চট্টোপাধ্যায়। এটি একটি মিউজিক্যাল লাভ স্টোরি। অরিত্র সেন পরিচালিত এই ছবি আগামী ১৭ মার্চ মুক্তি পেতে চলেছে। এই ছবিতেই প্রথবার ইশা এবং পরমব্রত একে অন্যের সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন।ওটিটি প্লেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ইশা এই ছবিতে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন সেটাই জানালেন। তিনি জানান ঘরে ফেরার গানে কাজ করার অন্যতম কারণ হল পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, 'দুটো জিনিসের কারণে আমি এই ছবিটা করেছি। একটা ছবি গল্প আর আমার চরিত্র। আমার মনে হয় এটা সবার ক্ষেত্রেই এক হয়। এই ছবিটা তোরার গল্প। তাঁর ইমোশন, তাঁর কথা এখানে উঠে এসেছে। আর সেটা আমার দারুণ পছন্দ হয়েছে। আর দ্বিতীয় কারণ হল আমি পরমদার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের প্রজন্মের অভিনেতাদের কাছে ও একজন অনুপ্রেরণা।'এই বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, 'আমি প্রায় সমস্ত খ্যাতনামা অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করে ফেলেছি। যেমন ঋত্বিক দা ( চক্রবর্তী), আবিরদা (চট্টোপাধ্যায়), অনির্বাণ (ভট্টাচার্য), এবং অন্যান্যরা। কিন্তু আমি এর আগে কখনই পরমদার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাইনি। আমি যখন অফারটা পেলাম তখন আর হাতছাড়া করিনি। ঘরে ফেরার গানে কাজ করার জন্য মুখিয়ে ছিলাম আমি, আর সেটা কেবল মাত্র পরমদার জন্য।'যাঁর সঙ্গে কাজ করার জন্য তিনি এতটাই পাগল ছিলেন, তাঁর সঙ্গে কাজ করার আসল অভিজ্ঞতা কেমন? কী জানালেন ইশা? তাঁর কথায়, 'আমরা একে অন্যকে এমনই চিনতাম। কিন্তু যখন কাজ করার সুযোগ এল তখন আরও ভালো করে জানতে পারলাম। লন্ডন পৌঁছানোর পরেই আমি আর পরমদা শপিং করতে চলে গিয়েছিলাম। এটা প্রোডাকশন টিম আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিল। আর সেটা একটা দারুণ মজার অভিজ্ঞতা ছিল। আমার মনে আছে আমি ওখানে গিয়ে শ্যুটিংয়ের জন্য সাজগোজের জিনিস কিনি। সেটা নিয়ে পরমদা খুব রেগে গিয়েছিল। এরপর পরমদা ওর এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল লাঞ্চ করতে। ওখানে গিয়ে আমায় ফোন করে বলে তিনি নাকি ইন্দুর সঙ্গে দেখা করতে চান। আমি তো দারুন উৎসাহিত বোধ করি। আমি যাই, ওঁর সঙ্গে দেখা করি। আমার মনে হয় আমাদের মধ্যে যে একটা বাধো বাধো ভাব ছিল সেটা ওই শপিং করতে গিয়েই কেটে গিয়েছে। ফলে শুট করার সময় আর অতটা অসুবিধা হয়নি।'