চলতি মাসের শুরুতেই করোনা টিকা নিয়ে সরকারি নিয়মের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিলেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী পরিচালক হনসল মেহতা। তিনি জানতে চেয়েছিলেন, কেন তাঁর ২৫ বছর বয়সী ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত পুত্র করোনা টিকা নেওয়ার যোগ্য নয়? কেন্দ্র সরকার পরবর্তীতে নিয়ম শিথিল করেছে, আগামী পয়লা মে থেকে ১৮ বছরের উর্ধে যে কেউ করোনা টিকা নেওয়ার যোগ্য, তবে এতদিন পর্যন্ত এই বয়সসীমা ছিল ৪৫ বছর।
আর এর মাঝেই মঙ্গলবার টুইটারে হসনল মেহতা জানান, করোনার গ্রাস থেকে রক্ষা পায়নি ছেলে পল্লবা। করোনা সংক্রমিত পুত্রের জন্য কাতর সুরে সাহায্য প্রার্থনা করেন পরিচালক। নেটিজেনদের সাহায্য চান। করোনা চিকিত্সায় ব্যবহৃত অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ ‘রেমডেসিভির’ সন্ধান চেয়ে টুইট করেন তিনি। কারণ ছেলের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বেশ কমে গিয়েছে বলে জানান ‘আলিগড়’ পরিচালক। এই মুহূর্তের মুম্বইয়ের অন্ধেরি (পূর্ব)-এর ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে পল্লবা।
বর্তমানে হু হু গতিতে করোনা রোগীর সংখ্যা বৃৃদ্ধি পাওয়ায় করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ‘রেমডেসিভির'-এর চাহিদা আকাশ ছোঁয়া। অথচ দেশের মাত্র সাতটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাই এই ড্রাগ তৈরি করে।

অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই সাড়া পান পরিচালক। এরপর নিজের পুরোনো টুইট মুছে দিয়ে তিনি নতুন একটি টুইটে জানান, ‘আমি আপ্লুত আপনাদের কাছে এইরকম সাড়া পেয়ে, মানুষজন পল্লবাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে। তাই পুরোনো টুইট মুছে দিলাম। প্রয়োজন পূরণ হয়েছে। সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ভালোবাসার জন্য, দয়া করে সকলে ওঁর জন্য প্রার্থনা করুন’।
উল্লেখ্য দু-দিন আগেই ভারত-পাকিস্তানের করোনা পরিস্থিতির তুলনা টেনে নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়েছিলেন হনসল মেহতা। পরিচালককে পাকিস্তানের বাসিন্দা হওয়ার পরামর্শ দিয়ে করাচির একমুখী টিকিট পর্যন্ত কেটে দেয় দেব মেহতা নামে এক জনৈক। যদিও হনসল মেহতা পালটা দাবি করেন, এমিরেটসের ওই টিকিট ভুয়ো। শারজায় বসবাসকারী ওই ভারতীয়র বিরুদ্ধে শারজা পুলিশ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী পুলিশ এবং এমিরেটস কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানও পরিচাল।