শিলিগুড়ি থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরে, সমুদ্রতট থেকে আনুমানিক ৩০০০ ফিট উঁচুতে অবস্থিত ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। এটাকে বাংলা-ভূটান সীমান্তের ছোট্ট জনপদ বলাই ভালো। সবুজে ঘেরা এই গ্রামে মূলত চা ও কমলালেবুর চাষ হয়। রয়েছে শাল, শিমুল, পাইন গাছ। যেদিকে তাকাবেন, সেদিকে শুধুই সবুজ। এবার সেই সামসিং-এর পথেই দেখা গেল অভিনেতা বিশ্বনাথ বসুকে।
ভাবছেন, অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু সামসিং-এ কী করছেন? সেকথা খোলসা করলেন অভিনেতা নিজেই। জানালেন 'ঘরে ঘরে জি বাংলা'-শোয়ের শ্যুটিংয়ের জন্য তিনি সেখানে গিয়েছেন। নিজের ফেসবুকের পাতায় একটা ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন বিশ্বনাথ। সেই ভিডিয়োতে তাঁকে রাস্তার ধারে একটা ধাবায় বসে পরোটা আর ঘুগনি খেতে দেখা গেল। রাস্তার ধারে একটা নেপালী দোকানের রান্নাবান্না থেকে সামনে বসে খাওয়া সবের স্বল্প ঝলক লেন্সবন্দি করেছেন বিশ্বনাথ।
ক্য়ামেরার দিকে তাকিয়ে বিশ্বানাথ বললেন, ‘খিদে পেয়েছে। ঘরে ঘরে জি বাংলা একন সামসিং-এর পথে। পথে মানে বুঝতে পেরেছেন তো! যেদিকে তাকাবেন, মনে হবে কে একটা ছবি টাঙিয়ে দিয়ে গেছে। আমি আবার খিদে পেয়েছে বলে একটা নেপালী দোকানে ঢুকে পড়েছি। ওরা পরিস্কার বলল, বাঙালি খাবার আছে, পরোটা তরকারি আছে। আমি এই পরোটা তরকারি খাব, তারপর গিয়ে কাজে ঝাঁপ মারব। সামসিং-এর কাছে কোন পরিবারের কাছে যাব, তাই ভাবছি! আমদের যে টিম, মাঝে মধ্যে ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছে করে, কেমন খুঁজে বের করেছে বলুন তো…'। ভিডিয়োটির ক্যাপশান দেওয়া হয়েছে 'সীমাহীন দিগন্তের গল্প'।
মাঝে মধ্যেই 'ঘরে ঘরে জি বাংলা'র শ্যুটিংয়ের ভিডিয়ো নিজের ফেসবুকের পাতায় পোস্ট করতে দেখা যায় বিশ্বনাথ বসুকে। দু'দিন আগেই বরানগরের 'ঝুলনবাড়ি' থেকে ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন বিশ্বনাথ। যেটা কিনা আদপে চক্রবর্তী বাড়ি। ভিডিয়োর ক্যাপশান দিয়েছিলেন ‘খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার’। তারও আগে ‘ঘরে ঘরে জি বাংলা’ বিশ্বনাথ বসুর হাত ধরে পৌঁছে গিয়েছিল জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী মিস জোজোর ঘরে! প্রসঙ্গত উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, বিশ্বনাথ বসুর হাত ধরে ঘরে ঘরে জি বাংলা পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।