আশা ছিল ২০২৪-এর শুরুটাও ধামাকেদার হবে। পাঠান-এর পথে হেঁটে সিদ্ধার্থ আনন্দের এই সিনেমাও বুঝি কামাল করবে বক্স অফিসে। তবে তেমনটা হল না। বরং, অনেকটাই ঠান্ডা ফাইটার। ধীরে ধীরে আয়ও কমছে। sacnil.com-এর রিপোর্ট বলছে, বুধবার ফাইটারের আয় ৬.৩৫ কোটি।
ফাইটার বক্স অফিস কালেকশন:
২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছিল হৃতিক রোশনের সিনেমা। ওয়ার, ব্যাং ব্যাং-এর পর ফের অভিনেতা কাজ করলেন পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দের সঙ্গে। তবে এবারে আর আগের মতো কামাল করা হল না ফাইটারের। দেশের মতো, বিদেশের আয়েও রয়েছে মন্দা। এর একটা বড় কারণ যদিও বেশ কিছু দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ফাইটারকে।
২৫ জানুয়ারি মুক্তির পর কোনদিন কত ব্যবসা করে ফাইটার?
মুক্তির দিন: ২২.৫ কোটি
২৬ জানুয়ারি (প্রথম শুক্রবার): ৩৯.৫ কোটি
২৭ জানুয়ারি (প্রথম শনিবার): ২৭.৫ কোটি
২৮ জানুয়ারি (প্রথম রবিবার): ২৯ কোটি
২৯ জানুয়ারি (প্রথম সোমবার): ৮ কোটি
৩০ জানুয়ারি (প্রথম মঙ্গলবার): ৭.৫ কোটি
৩১ জানুয়ারি (প্রথম বুধবার): ৬.৩৫ কোটি
আর ৭ দিনের মোট আয় গিয়ে দাঁড়াল ১৪০.৩৫ কোটি।
বিশ্ববাজারে ফাইটারের পারফরমেন্স:
অন্য দিকে, শেষ পাওয়া খবর অনুসারে প্রথম ৬ দিনে বিশ্বব্যপী ২৪০.৯২ কোটি সংগ্রহ করেছে ফাইটার।
বাণিজ্য বিশ্লেষক তরণ আদর্শ তার এক্স হ্যান্ডেলে (আগের টুইটার) লিখেছেন যে, ভারতের তুলনায় বিদেশে চলচ্চিত্রটি ভালো পারফর্ম করা বিষে। 'চমকপ্রদ'। তিনি লিখেছেন, ‘ফাইটার ভারতকে চমকে দিয়েছে, বিদেশকে ধাক্কা দিয়েছে... #Fighter-এর কম পারফরম্যান্স ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে শক ওয়েভ পাঠিয়েছে... কল্পনা করুন, ফিল্মটি সমস্ত বাক্সে টিক চিহ্ন দিয়েছে- ঠিক তারকার নাম এবং পরিচালকের শংসাপত্র থেকে শুরু করে সমালোচকদের অসাধারণ প্রশংসা এবং ইতিবাচক দর্শক প্রতিক্রিয়া… তবুও, #ভারতে টিকিট বিক্রির ক্রমহ্রাসমান সংখ্যা সবাইকে হতবাক করেছে।’
তরণ আদর্শ আরও লেখেন, ‘ফাইটার যখন #ভারতের বক্স অফিসে নিম্নমুখী প্রবণতার সাক্ষী হচ্ছে, মূল আন্তর্জাতিক বাজারের ব্যবসা শক্তিশালী। এমনকী সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতেও... ইউএসএ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মতো বাজারগুলিতে এই ছবি শক্ত করে জমি ধরে রেখেছে।’
পুলওয়ামা-তে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের উপর করা ভারতের এয়ারস্ট্রাইক ও তারপর ভারত-পাক যুদ্ধ এই ছবির বিষয়। সিনেমায় হৃতিক-দীপিকা ছাড়াও রয়েছেন অনিল কাপুর, করণ সিং গ্রোভাররা। এই প্রথমবার ফাইটারেই জুটি বাঁধলেন হৃতিক আর দীপিকা।