তারকাদের নিয়ে ট্রোলিং নয়া ট্রেন্ড। আর সেই তারকা যদি হয় কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের ভোটপ্রার্থী, তাহলে তো কথাই নেই! শুক্রবার সকালে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী। একটি ১৯ দিনের শিশুর হার্টের সমস্যা নিয়ে পোস্টটি করেছিলেন পরিচালক। সেখানেও ট্রোলড হতে হয় তাঁকে।
হিন্দুস্তান টাইমসের পক্ষ থকে রাজ চক্রবর্তীকে ফোন করা হলে পরিচালক জানান, ‘আমি যখন খবর পাই তখন শিশুটিকে অক্সিজেন দিয়ে রাস্তায় বসে ছিল ওর পরিবার। কোভিড রোগীর সংখ্যা বেশি থাকায় আরএন টেগোরের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও উপকার হয়নি। তারপর ওকে নারায়ণীতে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত আইসিইউতে আছে। শিশুটির হার্টের কিছু সমস্যা আছে। শিশুটির পরিবার ও ডাক্তারদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। অনেকটাই স্থিতিশীল বাচ্চাটি। ’
রাজ তাঁর পোস্টে লিখেছিলেন, ‘একটি ১৯ দিনের শিশু। হার্টের সমস্যা রয়েছে। গত তিন দিন ধরে তার বাবা-মা রাস্তায় ঘুরছেন বেডের জন্যে। কোন জায়গায় নেওয়া হচ্ছিল না। যখন জানতে পারি, ওনাদের ট্রেস করে হেলথ ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা বলে চেষ্টা করে কোনো ভাবে হাওড়ার নারায়ণী হাসপাতালে ভর্তি করতে পেরেছি।'
যেহেতু বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাই চিকিৎসা খরচসাপেক্ষ। রাজ তাঁর সকল ফেসবুক ফলোয়ার্সদের অনুরোধ করেন সাহায্যের। লেখেন, ‘কিন্তু সেখানকার দৈনিক খরচ ওনাদের সাধ্য ও ক্ষমতার বাইরে। কেউ যদি এই পরিস্থিতিতে ওনাদের অর্থনৈতিক সাহায্যে এগিয়ে আসতে চান…’ এরপর পরিবারটির ফোন নম্বরও দিয়ে দেন।

রাজের এই ফেসবুক পোস্ট ঘিরে ট্রোলিং শুরু হয় নিমেষে। ‘কেন আপনি সাহায্য করছেন না’, ‘আপনার এত টাকা, আর লোকের থেকে সাহায্য চাইছেন’-এর মতো কমেন্ট পড়তে থাকে। তবে, এবার আর চুপ করে থাকেননি তিনি। আরও একটি ফেসবুক পোস্ট করে দিয়েছেন ট্রোলারদের কড়া জবাব।
অপর ফেসবুক পোস্টে রাজ লিখেছেন, ‘এই সময়ে দাঁড়িয়ে কে কতটা করলাম, সেই হিসেব নাই বা ভাবলাম। একা যতটা করা যায়, সকলে মিলে তার থেকে অনেক বেশি করা সম্ভব৷ আরও অনেক মানুষের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব। তাই আমার অনুরোধ, দলমত নির্বিশেষে একে অপরের পাশে থেকো৷ সকলে সুস্থ থেকো। ভালো থেকো ও ভালো রেখো৷’
আরও লেখেন, ‘এরপরেও যদি মনে হয় পনেরো বছর ইন্ডাস্ট্রিতে থেকে রাজ চক্রবর্তী কী করেছে এই শিশুর জন্যে, তা'হলে সেই হিসেব নিকেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়। 833*****11- এই নাম্বারে যোগাযোগ করো। কথা হবে। ধন্যবাদ৷’

সম্প্রতি রেড ভলেন্টিয়ার্স-দের নম্বর শেয়ার করে ট্রোলড হতে হয়েছিল পরিচালককে। ফেসবুকে নিজের নম্বর ভাইরাল হয়ে যাওয়াতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
ফোনে পরিচালক জানান, ‘ট্রোলিং কথাটি আমি ঠিক মানি না। কেউ তোমায় সমর্থন করবে, কেউ তোমার বিপক্ষে যাবে। ফেসবুকে কে কী সমালোচনা করল তা দেখার সময়ও আমার সেভাবে নেই। শুধু একটা ব্যাপারে আমি খুশি, অনেকেই এগিয়ে এসেছেন, পাশে দাঁড়িয়েছেন বাচ্চাটির পরিবারের। ’