বক্স অফিসে সফল দেবের ক্রিসমাস রিলিজ ‘প্রধান’। দর্শকদের থেকে ভালোবাসা কুড়িয়েছে পরিচালক অভিজিৎ সেনের এই ছবি। প্রধান-এ দেবের নায়িকা টেলিভিশনের হিট নায়িকা সৌমিতৃষা কুণ্ডু। কিন্তু ছবি মুক্তির আগে থেকেই বিতর্ক পিছু ছাড়েনি মিঠাইরানির। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘ছোট পর্দায় আমার মতো আর কেউ স্টার হতে পারবে কি না সন্দেহ’। এরপরেই ‘অহংকারী’ তকমা জোটে তাঁর। অভিজিৎ সেনের প্রধানে দেবের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সৌমিতৃষা। আরও পড়ুন-দেব বনাম মিঠুন—মেগা ফাইটের ফলাফল! কাবুলিওয়ালাকে গোল দিয়ে ৩.৫৫ কোটি আয় প্রধানের
এরপর মিঠাই টিমের একাধিক সহ-অভিনেতাকে সোশ্যালে আনফলো করে বিতর্ক বাড়ান সৌমিতৃষা। প্রথম ছবি মুক্তি পেতে না পেতেই নায়িকাকে নিয়ে এত্ত আলোচনা। এই নিয়ে দেব কী বলছেন? তারকার সাফ কথা, ‘ওর অহংকার আমার চোখে পড়েনি’।
সম্প্রতি পুলিশকর্মীদের জন্য প্রধান-এর স্পেশ্যাল স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করেছিলেন দেব। সেখানেই টলি ফোকাস কলকাতাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টলিউড সুপারস্টার জানান, ‘আমার মনে হয় এটা নিয়ে আমার উত্তর দেওয়া সাজে না। আমার কোনওদিন ওর অহংকার চোখে পড়েনি। ও বরাবর আমার সঙ্গে ভালো আচরণ করেছে। আমার তরফ থেকে ওর জন্য শুভেচ্ছা। প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব ভাবনা-চিন্তা রয়েছে, বোঝার ক্ষমতা রয়েছে। আমার মনে হয়, আমার সঙ্গে কে কেমন ব্যবহার করছে সেইভাবেই আমি তাকে চিনব। সেটাই তার পরিচয় হওয়া উচিত।’
এরপর দেব যোগ করেন, ‘সিনিয়র হিসাবে আমার কখনও মনে হয়নি যে আমি ওর কথায় অপমানিতবোধ করেছি। আমার মনে হয়, কারুর সঙ্গে ঘটে থাকলে সেটা ওর এবং সেই লোকটার ব্যাপার। আমি ওকে খুব অল্প দিন চিনি… সহ অভিনেত্রী হিসাবে। ও খুব পরিশ্রমী, খুব সিনসিয়ার মেয়ে। ওর ভবিষ্যতের জন্য অনেক শুভেচ্ছা।’
অহংকারী তকমা এবং তন্বীকে আনফলো করার প্রসঙ্গে এর আগে সৌমিতৃষা জানিয়েছিলেন, 'আমরা তো আসা যাওয়ার পথে কত হোঁচট খাই, কত ফলো করি,কত আনফলো করি। বাব্বা! এতো ফেমাস আমি, সত্যি বলছি আমি জানি না আমি এত ফেমাস। কোনদিন দেখব আমি কী খাচ্ছি সেটা নিয়েও নিউজ হয়ে গেছে! আমি তো নিজের স্ট্রাগল বেচবো না। বলব না আমি এই কষ্ট করেছি,ওই করেছি সেটা কোনওদিন বলব না। সবাই কষ্ট করেই এগোয়। আমিও তাই পেয়েছি। যারা কষ্ট করে এগোয়, তাঁদের জীবনে কখনও অহঙ্কার আসে না'।