ফুল ফুল ছাপা কাঁধ কাটা ফ্রক, চোখে প্রাণোচ্ছ্বল হাসি। ছোট করে ছাঁটা চুল- এই মিষ্টি খুদেক দেখে চেনা দায়! অথচ এই কন্যেই এক দশকেও বেশি সময় ধরে মাতিয়ে রেখেছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেজায় সক্রিয় তিনি। সময় পেলেই খুদে বয়সের ছবি পোস্ট করে থাকেন। চিনতে পারলেন? আরও পড়ুন-‘লোকে অভিনেত্রী মিমিকে ভালোবাসতো বলেই এমপি হিসাবে আমাকে ভোট দিয়েছে’
চলুন একটু হিন্টস দেওয়া যাক। শিশুশিল্পী হিসাবে নব্বইয়ের দশকের শেষলগ্নে কাজ শুরু করেছিলেন। একটা সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের পরেই যেখানে হারিয়ে যান অভিনেত্রীরা বা পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন, সেখানে গত ১৪ বছর ধরে বাংলা টেলিভিশনের লিডিং লেডি তিনি। এবার বুঝলেন?
এই খুদের ব্যক্তিগত জীবনও হামেশাই থেকেছে চর্চায়। ভালোবেসে এক নামী সঙ্গীত তারকাকে বিয়ে করেছিলেন। তবে টেকেনি সেই বিয়ে। পরে ফের নিজের মনের মানুষ খুঁজে পান নায়িকা। তিনি পেশায় পরিচালক। এখন চুটিয়ে সংসার করছেন দুজনে। দেখতে দেখতে বিয়ের দু-বছর পার। এতক্ষণে তো বুঝেই গিয়েছেন, কথা হচ্ছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’র শিমুল মানে অভিনেত্রী মানালি মণীষা দে-র।
আরও পড়ুন- ‘জন্মেছিল একটি বাঘ…’, বাঘা যতীনের বীরগাথা নিয়ে পুজোর লড়াইয়ে দেব, দেখুন ট্রেলার
এই ছবিতে দেখা গেল খাটের উপর আগডুম বাগডুম হয়ে বসে রয়েছে সে। নিজের এই মিষ্টি ছবি শেয়ার করে কোনও শব্দই খরচ করেননি মানালি, শুধু লজ্জায় মুখ ঢাকার ইমোজি শেয়ার করেছেন দুটো।
কিছুদিন আগেই প্রসেনজিৎ-এর জন্মদিনেও নিজের মেয়েবেলার একটি মিষ্টি ছবি শেয়ার করেছিলেন মানালি। সেখানে বুম্বাদা-র কোলে হেলান দিয়ে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল মানালিকে। সুযোগ পেলেই খুদে বয়সের ছবি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন মানালি।
নীড় ভাঙা ঝড় সিরিয়ালের সঙ্গে ছোটপর্দায় হাতেখড়ি মানালির। লিড রোলে দর্শক তাঁকে প্রথমবার দেখেছিল বউ কথা কও সিরিয়ালে। ২০০৯ সাল থেকে সম্প্রচার শুরু হয়েছিল এই মেগার। পরবর্তীতে ‘সখী’, ‘ভুলে যেও না প্লিজ’, ‘নকশি কাঁথা’,'ধুলোকণা'র মতো মেগায় মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেছেন মানালি। বর্তমানে বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম হিট মেগা ‘কার কাছে কই মনের কথা’। গার্হস্থ্য হিংসা, বৈবাহিক ধর্ষণের মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলো উঠে আসছে এই মেগায়।
এই মুহূর্তে পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের ঘরণী মানালি। আগে গায়ক সপ্তককে বিয়ে করেছিলেন। তবে টেকেনি সেই বিয়ে।