‘লাগে রাহো মুন্না ভাই’ থেকে শুরু করে ‘থ্রি ইডিওটস’, দীর্ঘ কেরিয়ারে বোমান ইরানি যে যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন সেই প্রত্যেকটি চরিত্র ছিল ইউনিক। বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে কাজ করেছেন তিনি। তবে এই সাফল্যের পেছনেও রয়েছে এমন একটি চাপা কষ্টের ইতিহাস, যা সম্প্রতি সকলের সামনে তুলে ধরলেন তিনি।
সম্প্রতি ANI - এর সঙ্গে আলাপচারিতায় ছোটবেলায় তিনি কীভাবে ছোট ছোট চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতেন, সেটাই বলেন বোমান। কীভাবে শুধু একটি সমস্যা মানুষকে সংজ্ঞায়িত করে, একটি মানুষকে নির্দিষ্ট আখ্যা দেয় সেটাই বারবার বলতে থাকেন অভিনেতা।
আরও পড়ুন: ছবি মুক্তির আগেই ১২০ কোটি টাকা ক্ষতি, আমির নিলেন কোন বড় সিদ্ধান্ত?
আরও পড়ুন: 'আমির ১০ বার ফোন করে আমায়…',বন্ধুর আবদার রাখতে কী করলেন শাহরুখ?
বোমান বলেন, ‘দুজন ব্যক্তির ডি এন এ কখনও একই রকম হয় না, দুটি মানুষ পুরোপুরি আলাদা। মানুষের ক্ষমতা বা অক্ষমতা দুটোই একেবারে ভিন্ন। তাদের শরীরের গঠন, যোগ্যতা, ডিসলেক্সিয়া, অতিজমের লক্ষণ সবকিছুই আলাদা আলাদা হয়। তাই প্রত্যেকেরই তাদের ক্ষমতা বা অক্ষমতাকে নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত।’
অভিনেতা বলেন, ‘আমার মনে আছে আমি যখন স্কুলে পড়াশোনা করতাম তখন আমি ভালো করে অঙ্ক করতে পারতাম না। তবে আমি মানুষের সঙ্গে ভীষণ ভালো কথা বলতে পারতাম, গল্প বলার ক্ষমতা ছিল আমার মধ্যে। আমার শরীরকে ব্যবহার করার ক্ষমতা ছিল আমার মধ্যে। এছাড়াও ছিল কণ্ঠস্বর ব্যবহার করার ক্ষমতা।’
আরও পড়ুন: 'হারিয়ে যেতে চাই…', কেন এমন কথা বললেন অভিষেক? কী হল হঠাৎ?
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ‘কমল’, থাকবে প্রধানমন্ত্রীর উক্তি, আমিরের ছবিতে কী কী বদল সেন্সর বোর্ডের
অভিনেতা আরও বলেন, ‘কিছু কিছু জিনিস আমি ভীষণ ভালভাবে মনে রাখতে পারতাম। কিন্তু সেখানেই অঙ্ক আমার মনে থাকত না। ঘন্টার পর ঘন্টা যদি আমাকে পাটিগণিত নিয়ে বসিয়ে রাখে, তাহলে কিন্তু আমি কিছুই বুঝতে পারব না। কিন্তু ওই একটি জিনিস নিয়ে মানুষকে বিচার করা যায় না।’
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে দিবাকার বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ‘খোসলা কা ঘোসলা’ ছবিতে আইকনিক চরিত্রে অভিনয় করে মানুষের মন জিতে নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সিনেমায় ভিন্ন স্বাদের চরিত্রে অভিনয় করে মানুষের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছিলেন বোমান।