অবশেষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন কনিকা কাপুর ও তাঁর পরিবার। সাম্প্রতিকতম টেস্টে গায়িকার শরীরে মিলল না করোনাভাইরাস।২০ মার্চ থেকে লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউড অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের করোনা ওয়ার্ডে ভরতি রয়েছেন কনিকা। এএনআই সূত্রে খবর, কনিকার পঞ্চম টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ তবে আপতত হাসপাতালেই থাকতে হবে তাঁকে। এরপর আরও একবার তাঁর শরীরের করোনাভাইরাস আছে কিনা সেই পরীক্ষা করা হবে, সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই কনিকাকে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দেশের প্রথম হাই-প্রোফাইল করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিত্ব কনিকা কাপুর। গায়িকার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসার পর থেকেই সংবাদ শিরোনামে রয়েছেন শিল্পী। লন্ডন থেকে ফিরে ঘরবন্দি না থেকে একের পর শহর ঘুরে বেড়ানোয় নেটিজেন ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে কনিকাকে।মঙ্গলবার কনিকা কাপুরের করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল কিন্তু সেই রিপোর্টও পজিটিভ আসে এরপর বেবি ডল খ্যাত গায়িকার চিকিত্সা পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন করা হয়, পাশাপাশি তাঁর ডায়েট চার্টেও পরিবর্তন আনা হয়। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এমন ধরণের খাবার দেওয়া হচ্ছে কনিকাকে। খাবারে ভিটামিন, প্রোটিন এবং কার্বোহাড্রেটের মাত্রা আগের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে। এরপর থেকেই দ্রুত কনিকার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটে। হাসপাতালের ডিরেক্টের আরকে ধীমান আগেই জানিয়েছিলেন, জ্বর এবং কাশির কোনও লক্ষণ নেই কনিকার শরীরে এবং গায়িকার অবস্থা স্থিতিশীল।গত রবিবার ইনস্টাগ্রামে একটি আবেগঘন পোস্ট শেয়ার করেছিলেন কনিকা।একটি জীবনমুখী প্রবাদ ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে ভাগ করে নেন তিনি। যাতে লেখা ছিল-' জীবন আমাদের সময়ের সদ্ব্যবহার করতে শেখায় এবং সময় আমাদের শেখায় জীবনকে আরও বেশি মূল্য দিতে'। এই পোস্টের ক্যাপশন হিসাবে কনিকা লেখেন,'ঘুমোতে যাচ্ছি, তোমাদের সবার জন্য অনেক ভালোবাসা। সুরক্ষিত থাকুন। আমাকে নিয়ে এত চিন্তা করার জন্য ধন্যবাদ কিন্তু আমি আইসিইউ-তে নেই। আমি ঠিক আছি। আশা করছি আমার পরের পরীক্ষাটি নেগেটিভ আসবে। বাড়ি যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। পরিবার ও আমার সন্তানদের খুব মনে পড়ছে।অবশেষে কনিকার মনের ইচ্ছাপূরণ হল। কনিকার টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসার খবরে খুশি তাঁর অনুরাগীরাও।