বলিউডে আবারও নক্ষত্র পতন। চলে গেলেন কোরিওগ্রাফার সরোজ খান। গত ২০ জুন থেকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে মুম্বইয়ের বান্দ্রার গুরু নানক হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেম তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিস জনিত বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছিলেন কিংবদন্তি কোরিওগ্রাফার। ছেলে হামিদ খান এবং মেয়ে হিনা ও সুকিনা খানকে রেখে চলে গেলেন সরোজ খান। তিন বছর বয়স থেকে শিশু নৃত্যশিল্পী হিসেবে পথ চলা শুরু করেন সরোজ খান। তাঁর সারাটা জীবন এক লক্ষ্য জয়ের লড়াই বলে। শুরুটা মোটেও সহজ ছিল না ছোট্ট সরোজের। শুধুমাত্র নিজের আত্মবিশ্বাস এবং চূড়ান্ত লড়াই তাঁকে বসিয়েছিল বলিউডের সেরার আসনে। তাঁর হাত ধরেই বলিউডের একের পর এক সুপারস্টার নাচের তালে দেশবাসীকে মুগ্ধ করেছেন।১৯৭৮ সালে ‘ গীতা মেরা নাম’ ছবিতে স্বতন্ত্র কোরিওগ্রাফার হিসেবে প্রথম ব্রেক পান। ঝুলিতে রয়েছে তিনটি জাতীয় পুরস্কার-সহ অজস্র খেতাব। ২০০০-এর বেশি গানে কোরিওগ্রাফ করেছেন তিনি। ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’-র ‘হাওয়া হাওয়াই’, ‘তেজাব’-এর ‘এক দো তিন ’, ‘দেবদাস’-এর ‘দোলা রে দোলা’ ইত্যাদি গানের কোরিওগ্রাফি সরোজ খানকে ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে স্মরণীয় করে রাখবে। ‘বেটা’ ছবির বিখ্যাত সেই ‘ধক ধক করনে লাগা’-র কোরিওগ্রাফি মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এক সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে চিরকাল স্বীকৃতি পাবে বলে মত নৃত্য মহলের। তবে দীর্ঘদিন তিনি বলিউডের কোনও সিনেমায় কাজ করেননি। শেষ কাজ করেছিলেন ২০১৯ সালে - করণ জোহর প্রয়োজিত ‘কলঙ্ক’-এ।মা সরোজ খানের নৃত্য ধারা অব্যাহত থাকবে তাঁর পুত্র রাজু খানের কোরিওগ্রাফির মধ্যে দিয়ে। এই মুহূর্তে বলিউডে একজন গুরুত্বপূর্ণ ডান্স ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন রাজু ওরফে হামিদ খান।