সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০২৪ সালে তাঁর প্রিয় ছবির একটি তালিকা সামনে এনেছেন শুক্রবার রাতে। মোট ১০টি ছবির নাম দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার এক্স (পূর্বে টুইটার) এ নিয়ে গিয়ে তিনি তালিকাটি শেয়ার করেছেন এবং পায়েল কাপাডিয়ার অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট রয়েছে শীর্ষে। এদিকে, ভারত থেকে অস্কারের জন্য এই অফিসিয়াল এন্ট্রিতে এই ছবিকেই বেছে নেওয়া হয়নি, যা নিয়ে আপাতত সমালোচনা চারদিকে।
ওবামার মতে ২০২৪ সালের সের ছবি কোনগুলি?
ওবামা লিখেছেন, ‘এখানে কয়েকটি সিনেমা রয়েছে, যা আমি এই বছর দেখার পরামর্শ দেব।’ আর নোটে লেখা ছিল, ‘২০২৪ সালের বারাক ওবামার প্রিয় সিনেমা’। আর তাতে থাকা ১০টি নাম হল-
- অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট
- কনক্লেভ
- দ্য পিয়ানো লেসন
- দ্য প্রমিসড ল্যান্ড
- দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ
- ডিউন: পার্ট টু
- আনোরা
- ডিডি
- সুগারকেন
- এ কমপ্লিট আননোন
অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট প্রসঙ্গে
পায়েল কপাডিয়া নির্মিত ছবিটি বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে। কান চলচ্চিত্র উৎসবে গ্রাঁ প্রি সম্মান পেয়েছে তাঁর ছবি ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’। এখানেই শেষ নয়, গোল্ডেন গ্লোবসে নন ইংলিশ ল্যাঙ্গোয়েজের বিভাগে সেরা মোশন পিকচারে মনোনয়ন পেয়েছে পায়েল কাপাডিয়ার সিনেমা। পাশাপাশি পায়েল নিজেও মনোনয়ন পেয়েছেন সেরা পরিচালকের জন্য। উল্লেখ্য, আগামী জানুয়ারি মাসে ঘোষণা করা হবে গোল্ডেন গ্লোবস পুরস্কার।
তবে সবাইকে অবাক কর, ভারত থেকে অস্কারে অফিসিয়াল এন্ট্রি হিসেবে পাঠানো হয় আমির খান প্রযোজিত ও কিরণ রাও পরিচালিত লাপাতা লেডিজ ছবিটি। যা দেখে রীতিমতো চক্ষু ছানাবড়া হয় সিনেপ্রেমীদের। আর বিতর্ক আরও বাড়ে, যখন অস্কারের ফাইনাল লিস্টে আমিরের ছবির নামই থাকে না। অস্কারের জন্য প্রথমে মনোনীত হলেও দুর্ভাগ্যবশত শীর্ষ ১৫টি সিনেমার মধ্যে জায়গা করতে পারেনি এই সিনেমাটি।
এরপর পরিচালক হংসল মেহতা থেকে শুরু করে মিউজিসিয়ান রিকি কেজ সহ আম আদমি অনেকেই ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার এই সিদ্ধান্ত অর্থাৎ লাপাতা লেডিজকে অস্কারের জন্য পাঠানো ভুল ছিল সেটা মনে করিয়ে দেন।
বিতর্ক বাড়তেই অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইটকে কেন পাঠানো হল না ভারতের অফিসিয়াল এন্ট্রি হিসেবে অস্কারে পাঠানো হয়নি, তার জবাব দেয় ভারতের অস্কারের জন্য ছবি বাছাই কমিটির প্রধন জাহ্নু বড়ুয়া। তিনি দাবি করেন, ‘জুরির মনে হয়েছে পায়েল কাপাডিয়ার ছবিটি টেকনিক্যালি খুবই দূর্বল। তাই তাঁরা তাঁদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছেন।’এখন ওবামার এই ছবিকেই ২০২৪ সালের সেরা ছবি বেছে নেওয়া রীতিমতো বিতর্কের আগুনে ঘি দিল।