
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
বেজে গিয়েছে লোকসভা ভোটের ঘণ্টা। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। দিল্লির মসনদে ফের বিজেপি বসবে, নাকি অন্য কোনও দল এবার ভোটে করবে বাজিমাত, তা জানতে একেবারে মুখিয়ে জনগণ। তবে এসবেরই মাঝে, বাংলার মানুষ মনে মনে ছক কাটছেন কোন দলে কে নতুন যোগ দেবে। গত বিধানসভা-লোকসভা ভোটে দলবদল, তারকাদের ভোটে দাঁড়ানো-র মতো নানা নাটকীয় পরিস্থিতির সাক্ষী থেকেছে আমজনতা। আশা রাখা যাচ্ছে, এবারেও তার অন্যথা হবে না।
তবে এরই মধ্যে দুটো নাম সবার মুখে-মুখে। তারা হলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। একসময় মমতার খুব কাছের ছিলেন ‘কানন’। তবে ভু বোঝাবুঝিতে ছাড়েন দল। মাঝে ঘুরে এসেছেন বিজেপি থেকে, সহবাস-সঙ্গী বৈশাখীকে সঙ্গে নিয়ে। তবে সেখানে মাসখানেই বিজেপি পদত্যাগ করেন। তৃণমূলের অন্দরের ফিসফাস বলছে, লোকসভা ভোটের আগে শুধু শোভন নন, বৈশাখীও যোগ দেবেন তৃণমূলে।
আর সম্প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজনীতিতে আসা নিয়ে মুখ খুললেন বৈশাখী। তাঁকে বলতে শোনা গেল, সবসময় সৎভাবে চাকরি করতে চেয়েছিলেন সারাজীবন। কখনও ইচ্ছেও ছিল না রাজনীতিতে আসার। তবে ‘সৎ থাকতে গিয়েই’ জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। বরাবরই তাঁকে মানুষের সেবায় এগিয়ে আসার উৎসাহ দিয়ে এসেছেন শোভন। এমনকী, তিনি যে রাজনীতির জন্য আদর্শ মানুষ, তেমনটা বলতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।
‘আমি যে সক্রিয় রাজনীতিতে এসেছি তা শোভনের অনুপ্রেরণায়। সবসময় বলত, তোমার কি মনে হয় এরা দারুণ ব্যাপার। তোমার মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ খুব ভালো। তুমি পারবে’, বলে বৈশাখী।
একটি পুরনো ঘটনার স্মৃতিচারণও করলেন। ঘরে ঘরে ভোট প্রচারের অঙ্গ হিসেবে গিয়েছিলেন কোনও এক গ্রামে। এবার যাওয়ার আগে তিনি ভীষণ চিন্তায় পড়ে যান কী পরে যাবেন তা নিয়ে। শোভনকে বলেন, ‘আমার তো ছাপা শাড়ি নেই কী পরব?’ শোভনের জবাব ছিল, ‘যা পরো তাই পরবে। তুমি তুমি হয়েই যাবে। দেখবেতোমাকে ওরা কত ভালোভাবে মেনে নেয়। আমাকে কি দেখো কখনো লুঙ্গি পরে যেতে। আমি তো গিলে করা পঞ্জাবি পরেই যাই।’
বৈশাখী জানান, গাড়িতে করে তিনি যখন যাচ্ছিলেন তখনও খুব ভয়ে ভয়ে ছিলেন। কিন্তু সেখানের মানউষ তাঁকে আপন করে নেয়। বাড়ি থেকে হাতে করে নিয়ে আসতে থাকে ছোটখাটো নানা উপহার, যার মধ্যে ক্ষেতের সবজিও আছে। কে কোথায় বসাবে যেন ঠিক করে উঠতে পারছিল না। আর তারপর থেকেই তিনি বোঝেন, মানুষের হয়ে কাজ করার মর্ম। শোভন সেদিনই ফেরার পথে তাঁকে বলেছিলেন, ‘এই কারও দিদি, কারও বোন, কারও মেয়ে ডাকের থেকে বড় কিছু হয় না, এটা মনে রাখবে।’
এই সাক্ষাৎকারেই ২৪-এর রাজনৈতিক লড়াই নিয়ে কথা বললেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘আমার মনে হয় যে কোনও নির্বাচন বড় যুদ্ধ। আমরা এখন দেখছি বড় একটা জোট তৈরির চেষ্টা চলছে। আর বিপরীতে একটা বড় প্রতিষ্ঠিত দল, যে কয়েকবার ভোটে জিতেছে। এরমধ্যে রামমন্দির এসে গেছে। এরকম একটা পরিস্থিতিতে শোভন সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করলে আমি অন্তত খুব খুশি হব। এখনও যখন বাংলার কোথাও ঘুরতে যাই, দেখি ও কী সুন্দর চিনতে পারছে। জানতে চাইছে, তোর মেয়ের চোখে অপারেশন হল, তোর কাকা ভালো আছে? ওর আসলে মাটির মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ খুব ভালো। আমি তাই চাই এবারের ভোটে ও কিছু একটা দায়িত্ব পাক। তবে সেটা কখন, কোথায় হবে, তা তো ওর দলনেত্রী (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ঠিক করবেন।’
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports