বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। কয়েকদিন আগেই গিয়েছে ১লা বৈশাখ। আর এবার অক্ষয় তৃতীয়া। প্রতিবছরই বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয় তিথিতে পালিত হয় অক্ষয় তৃতীয়া। এই শুভদিনে বহু বাড়িতে ও দোকানে দেবী লক্ষ্মী ও কুবেরের পুজো করা হয়ে থাকে। অক্ষয় তৃতীয়া বা 'আখা তিজ' এর বিশেষ দিনে বহু শুভ কাজ করা হয়। শাস্ত্রমতে বলা হয়, এই দিনে যা কিছু হয় তা অক্ষত বা অটুট থাকে। ‘অক্ষয়’ শব্দের অর্থ হল যার কোনও ক্ষয় নেই।
আর তাই এই শুভদিনেই নিজেদের নতুন কেনা ফ্ল্যাটে পুজো করলেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। সাজানো গোছানো ফ্ল্যাটে রাখা রয়েছে সাদা রঙের সুন্দর একটা সিংহাসন। 'ওঁ' লেখা সেই সিংহাসনে রাখা রয়েছে বিভিন্ন ঠাকুরের মূর্তি। রয়েছেন জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রা, লোকনাথ বাবা, পেতলের গোপাল, কালী সহ আরও বেশকিছু ঠাকুর। সেখানেই পেতলের ঘটে নারকেল ও আম্রপল্লব রেখে পুজো করতে দেখা গিয়েছে শ্রুতিকে। সেই ঘটে আঁকা হয়েছে লাল স্বস্তিক চিহ্ন। ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে ফল-মিষ্টি রেখে পুজো করা হয়েছে। এদিন নীল-রানি রঙের শাড়ি আর সাদা ব্লাউজে সাজতে দেখা গিয়েছে শ্রুতিকে। বাড়িতে অক্ষয় তৃতীয়ার একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী।
গতবছরই একই অ্যাপার্টমেন্টে উপর-নিচ করে দুটি নতুন ফ্ল্যাট কিনেছেন শ্রুতি ও স্বর্ণেন্দু। সেই ফ্ল্যাট নিজের মনের মতো করে সাজিয়ে তুলেছেন তাঁরা। মাঝে মধ্যেই নিজের সেই সাজানো ফ্ল্যাটে সুন্দর আনাচ কানাচের ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় শ্রুতিকে। যার মধ্যে সম্প্রতি নজর কেড়েছে শ্রুতির বাড়ির মধ্যে তৈরি বসবার চেয়ার। যেটি কিনা ইট-বালি সিমেন্ট দিয়েই তৈরি। ঠিক যেমনটা রাস্তার ধারে থাকা স্ট্রিট লাইটের নিচে বসবার জায়গা থাকে, সেভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে। সেটির সামনে বসে ছবিও তুলতে দেখা গিয়েছে শ্রুতি-স্বর্ণেন্দুকে।
আবার শ্রুতি যে ফ্ল্যাটটি কিনেছেন, সেটি তিনি নিজের বাবা-মাকে ৩০ তম বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উপহার দিয়েছেন। নজর কেড়েছে সেই ফ্ল্যাটের বাইরে আঁকা নেমপ্লেট। শৈল্পিক সেই নেমপ্লেটটি দেখে সত্যিই মুগ্ধহতে হয় বৈকি। সেই নেমপ্লেটে লেখে শ্রুতি, নিচে লেখা অভিনেত্রী বাবা-মায়ের নাম, সুব্রত দাস, স্বরূপা দাস। আর দরজায় লেখা শুধু ‘দাস’।
এছাড়াও শ্রুতির নানান পোস্ট থেকে উঠে এসেছে তাঁদের নতুন কেনা ফ্ল্যাটের আনাচ-কানাচের ছবি।
প্রসঙ্গত, গতবছর জুলাই মাসে আইনি বিয়ে হয় শ্রুতি আর স্বর্ণেন্দুর। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নাম বদলে শ্রুতি দাস সমাদ্দারও করে ফেলেন অভিনেত্রী। মধ্যরাতে রাতেই বিয়ের প্রথম ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেন তিনি। শ্রুতি একটি ওয়েডিং কেকের ছবি শেয়ার করে লেখেন ‘মিস থেকে মিসেস হলাম’। খুব ছিমছাম সাজে দেখা গিয়েছিল দুজনকে। সাদা ঢাকাই জামদানি বেছে নিয়েছিলেন। যাতে সরু লাল রঙের পার। আর স্বর্ণেন্দু পরেছিলেন সাদা রঙের পঞ্জাবি। সোনার বদলে রুপোর গয়না পরে রেজিস্ট্রি করেন শ্রুতি। রেজিস্ট্রির সঙ্গে আংটি বদল, সিঁদুর দান সবই হয়েছিল।