এখনও পুরোপুরি 'পদ্ম' ফুটল না। তবে 'পদ্ম' যে কোনও দিন ফোটার বার্তাও দিয়ে গেলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। তাৎপর্যপূর্ণভাবে কাঁথিতে নরেন্দ্র মোদীর জনসভার দিন অধিকারীর পরিবারের সেজ ছেলে বললেন, পদ্ম জাতীয় ফুল। তা উপড়ে ফেলা যাবে না। এমনিতে বুধবার মোদীর জনসভায় তমলুকের তৃণমূল কংগ্রেস (খাতায়কলমে) সাংসদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বিজেপি। বিস্তর ধোঁয়াশা-সম্ভাবনা-জল্পনার পর অবশ্য মোদীর সভায় যাননি। আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেননি বিজেপিতেও। তবে মোদীকে ‘দেখতে গিয়েছিলেন স্ত্রী সুতপা। রাজনৈতিক মহলের মতে, ‘দূত’ হিসেবে সুতপাকে মোদীর সভায় পাঠিয়ে বিজেপি নেতৃত্বকে ‘বিশেষ’ বার্তা দিয়েছেন। গেরুয়া শিবিরের প্রতি যে কোনওরকম অসন্তোষ সেই বার্তা দিয়েছেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের। কিন্তু দিব্যেন্দু গেলেন না কেন? তা নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানা না গেলেও রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপিতে যোগ দিলে অধিকারী পরিবারের কর্তা শিশিরের মতো দিব্যেন্দুরও সাংসদপদ খারিজের আবেদন করবে তৃণমূল। আপাতত সম্ভবত সেই পথে হাঁটতে চাইছেন না দিব্যেন্দু। সেই সম্ভাবনা বা মোদীর সভায় অনুপস্থিতির কারণ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি স্বয়ং অধিকারী পরিবারের সেজো ছেলে। তবে তাঁর ‘পদ্ম ফোটা’ যে স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, তাও কার্যত পরিষ্কার করে দিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মন্তব্য করেন, পদ্ম জাতীয় ফুল। তা উপড়ে ফেলার ক্ষমতা কার আছে? দুর্গাপুজোতেও তো পদ্ম ফুল ব্যবহৃত হয়। নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ ছুড়ে দেন। তাহলে অধিকারী বাড়িতে এখন থেকে কি শুধু পদ্মের ‘চাষ’ হবে? সে প্রসঙ্গ সরকারি মুখ না খুললেও দিব্যেন্দু জানিয়েছেন, আগামী দু'একদিনের মধ্যে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।