খড়্গপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দীনেন রায়। এই আসনে বিজেপির প্রার্থী তপন ভুঁইঞা। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের সইদ সাদ্দাম আলি।রাজ্যের মানচিত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি অবিভক্ত মেদিনীপুর থেকে এই জেলা তৈরি হয়। এই জেলায় তিনটি মহকুমা রয়েছে খড়্গপুর, মেদিনীপুর সদর ও ঘাটাল। খড়্গপুর এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী ২৭ মার্চ প্রথম দফায় খড়্গপুরে ভোট হবে।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী দীনেন রায়৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮৫,৬৩০৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী শেখ সাহাজাহান আলি৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৬৬,৫৩১৷ ১৯,০৯৯ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন দীনেন। একটা সময় বামেদের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি ছিল খড়্গপুর। বামপ্রার্থী শেখ নজরুল হক খড়্গপুর কেন্দ্র থেকে পাঁচবার (১৯৮৭ থেকে ২০০৬) সাল পর্যন্ত জয়ী হয়েছিলেন। ২০০১ এবং ২০০৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের অজিত মাইতিকে পরাজিত করেছিলেন নজরুল। ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের রঞ্জিত বসু, ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের নির্মল ঘোষ ও ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের রঞ্জিত বসুকে পরাজিত করেছিলেন তিনি। ১৯৮২ সালে বামপ্রার্থী শেখ সিরাজ আলি নির্দলের দেবেন দাস ও ১৯৭৭ সালে সিপিআইয়ের টিকিটে দাঁড়ানো দেবেনকে হারিয়েছিলেন। ১৯৫৭ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত আসনটি খড়গপুর গ্রামীণ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৭১—৭২ সালে কংগ্রেসের অজিতকুমার বসু ওই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। সিপিআইয়ের দেবেন দাস ১৯৬৭ ও ১৯৬৯ জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের মৃত্যুঞ্জয় জানা খড়্গপুর আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫৭ সালে খড়্গপুর গ্রামীণ যৌথ আসন ছিল। কংগ্রেসের কৃষ্ণপ্রসাদ মণ্ডল ও মৃত্যুঞ্জয় জানা উভয়ই ওই যৌথ আসনে জয়ী হয়েছিলেন। দেশের প্রথম নির্বাচনে খড়্গপুর একক আসন ছিল। কংগ্রেসের মহম্মদ মমতাজ মৌলানা প্রথমবার ওই আসন থেকে জিতেছিলেন।