প্রথম দফার ভোটের আগেই কি কাঁথির শান্তিকুঞ্জে আরও দুটি পদ্মফুল ফুটতে চলেছে? শনিবার শিশির অধিকারীর সঙ্গে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ‘সৌজন্য সাক্ষাতের’ পর সেই জল্পনা আরও বেড়েছে। বিজেপির একটি অংশের দাবি, আগামী ২৪ মার্চ কাঁথিতে নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় হাজির থাকবেন শিশির এবং দিব্যেন্দু। আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে দিতেও পারেন।তবে দিব্যেন্দু জানিয়েছেন, আপাতত তাঁর বিজেপিতে যোগদানের কোনও সম্ভাবনা নেই। রবিবার ভাঙাবেড়িয়ার শহিদ বেদিতে মাল্যদান করার পর শান্তিকুঞ্জে লকেটের সফর নিয়ে দিব্যেন্দু জানান, নেহাত সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য গিয়েছিলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের তরফে দাবি করা হচ্ছে, বিজেপিতে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করে রাখছেন অধিকারী পরিবারের কর্তা এবং তাঁর মেজো ছেলে। দিব্যেন্দু বলেন, ‘যে কেউ বলতে পারেন। সময় বলবে, যাঁরা বলছেন, তাঁরা ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেন, আমি তো করতে পারি না।' সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে বিজেপিতে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।’বিজেপিতে আপাতত যোগ দিচ্ছেন না বলে জানালেও তৃণমূলের দলীয় লাইন মেনে নিজের দাদা শুভেন্দুকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলতে রাজি নন দিব্যেন্দু। রবিবার সকাল থেকেই নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা দিয়ে পোস্টার পড়েছে। বিক্ষোভও দেখিয়েছে তৃণমূল। দিব্যেন্দু জানান, শুভেন্দু বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে কখনই বলা যাবে না। সঙ্গে দিব্যেন্দু জাবি করেন, প্রতি বছরই নন্দীগ্রাম দিবসে আসেন তাঁরা। স্থানীয় সাংসদ হিসেবে শহিদদের স্মরণ করেছেন। শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, খাতায়-কলমে এখনও তৃণমূলে থাকলেও অধিকারী বংশের দুই নেতার বিজেপিতে যোগ দেওয়া কার্যত সময়ের অপেক্ষা। সম্ভবত সঠিক সময়ের অপেক্ষা করা হচ্ছে। যাতে নন্দীগ্রামের (দ্বিতীয় দফায় ১ এপ্রিল ভোট) ভোটের আগে মানসিকভাবে তৃণমূলকে বেশি ধাক্কা দেওয়া যায় এবং জনমানসে বেশি প্রভাব বিস্তার করা যায়। দুইয়ের মিশেলে বিজেপি ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।