রেল শহর খড়গপুরে প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিলেন বর্তমান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। একইসঙ্গে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলে মমতাকে ‘ঝুটি দিদি’ বলে কটাক্ষ করলেন রেলমন্ত্রী। প্রাক্তনের কাজের সঙ্গে তুলনা টেনে এনেও মমতাকে তোপ দাগলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ২০২৬-এ দেশে উৎপাদন শুরু হবে সেমিকন্ডাক্টরের, ৫ বছরে আরও ৫টি প্রোজেক্ট: বৈষ্ণব
এবার মেদনীপুরের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর সমর্থনে রেল শহর খড়গপুরে নির্বাচনী প্রচারে আসেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেখান থেকে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। মমতা রেলমন্ত্রী থাকার সময় থেকে বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন রেলমন্ত্রী।
প্রথমে অগ্নিমিত্রা পাল বক্তব্য রাখেন। তারপরেই বক্তব্য রাখেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সেই সময়কার প্রসঙ্গ টেনে অশ্বিনী বলেন, ‘ঝুটি দিদি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন যেখানে খুশি শিল্যানাস করে গিয়েছেন। কাজ নিয়ে তিনি কিছুই ভাবেন না। তিনি মানুষের কথা ভাবেন না।’
উল্লেখ্য, এনডিএ সরকারের অটল বিহারি বাজপেয়ীর আমলে রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমান রেলমন্ত্রকের সাফল্য তুলে ধরতে গিয়ে সেই সময়কার তুলনা টেনে আনেন অশ্বিনী। রেল মন্ত্রকের কাজের তুলনাও টেনে অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘মমতা দিদি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন সেই সময় বাংলা রেলের উন্নয়নের জন্য মাত্র ৩০০০ কোটি টাকা পেয়েছিল। কিন্তু মোদীজির আমলে প্রায় চার গুণ বেশি টাকা পেয়েছে বাংলা। যার পরিমাণ হল প্রায় ১৩,০০০ কোটি টাকা।’ এর পাশাপাশি রেলের আরও কী কী কাজ হয়েছে সে বিষয়টি ও তুলে ধরেন রেলমন্ত্রী।
আন্ডারপাস, উড়ালপুল, বিদ্যুৎ প্রভৃতির সমস্যা রয়েছে খড়গপুরে। সেই সমস্ত সমস্যাগুলি নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল-বিজেপি। অশ্বিনী বৈষ্ণব এ দিন খড়গপুরবাসীর উদ্যেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের সমস্যা সমাধান করতে হলে আমাদের প্রার্থীকে দিল্লিতে পাঠান।’
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রকল্প বাতিলের অভিযোগও তুলেছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী মোবাইল ফোনের মতো ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী উৎপাদনের জন্য দুটি কারখানা গড়ার জন্য টাকা পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। অশ্বিনী আরও অভিযোগ করেন, মমতা শুধু নিজের পরিবারের জন্য কাজ করেন, ভাইপোর জন্য কাজ করেন।