ভোটপর্বের আর মাত্র এক দফা বাকি। তার মধ্য়েই গোটা দেশ জুড়ে নানা জল্পনা। তবে সকলেরই নজর এবার ৪ জুনের দিকে। সেদিনই ফলাফল প্রকাশিত হবে। তবে এবার নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ভোট গণনার কাজে কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে কোনও শিক্ষককে নিয়োগ করা যাবে না। জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।
এবার প্রশ্ন এই নির্দেশিকা কি সমস্ত স্তরের শিক্ষকদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য? নির্দেশিকা অনুসারে স্থায়ী ও অস্থায়ী সমস্ত স্তরের শিক্ষক, শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা লাগু হবে। অর্থাৎ গণনাকেন্দ্রে কোনও কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে কোনও শিক্ষককে নিয়োগ করা যাবে না। একেবারে কড়া নির্দেশ কমিশনের।
এদিকে শেষ দফার ভোটের আগে দেখা গেল নয়া নির্দেশিকা। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে বিভিন্ন দলের পক্ষ যাদের কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ করা হয় সেখানে কোনও শিক্ষককে রাখা যাবে না।
এদিকে বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বহু শিক্ষক রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সরাসরি রাজনীতির আঙিনায় কাজ করেন তিনি। এদিকে অভিযোগ ওঠে যে সেই শিক্ষকদের একাংশ কাউন্টিং হলে এজেন্ট হিসাবে থেকে যান। তবে এবার কমিশন এনিয়ে আগাম কড়া নির্দেশ দিল। সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, কোনও শিক্ষককে কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ করা যাবে না। তবে এক্ষেত্রে বলে রাখা যায় কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে সরকারি কর্মীকে নিয়োগ করা যাবে না।
আসলে প্রার্থীরা কাজের সুবিধার জন্য কাউন্টিং এজেন্টদের নিয়োগ করা হয়। প্রার্থীর সম্মতিতেই তাঁরা থাকেন। মূলত দলীয় নেতা কর্মীরাই এই কাউন্টিং এজেন্টের দায়িত্ব নেন। একেবারে শেষ পর্যন্ত তাঁদের থাকার কথা বলা হয়। তবে এক্ষেত্রে সরকারি কর্মী কেউ থাকলে সেক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। মূলত তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। সেকারণে এবার একেবারে নির্দিষ্টভাবে কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল শিক্ষকরা এই কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে থাকতে পারবেন না।
এক্ষেত্রে সরকারি বা সরকার পোষিত স্থায়ী বা অস্থায়ী কোনও শিক্ষককে রাখা যাবে না। এদিকে এবার ভোটের একেবারে প্রথম দিক থেকে কমিশনের তরফ থেকে নানা বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। মূলত ভোটে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্যই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়। তবে এবার আর শিক্ষকরা কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে যেতে পারবেন না, নির্দেশ কমিশনের।