লোকসভা ভোটের মুখে ওড়িশায় নবীন পট্টনায়কের বিজেডির সঙ্গে বিজেপির জোটের আলোচনার সম্ভাবনা বারবার খবরের শিরোনাম কেড়েছে। তবে জানা যাচ্ছে, দুই পার্টির মধ্যে জোটের আলোচনা মন্থর হওয়ার দিকে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ওড়িশায় বিজেপির রাজ্য ইউনিটের সদস্যরা দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন। এমনই দাবি বেশ কিছু রিপোর্টের। ২০২৪ সালে ওড়িশায় লোকসভা ভোট ছাড়াও বিধানসভা ভোট রয়েছে। এদিকে, 'দ্য টাইমস এফ ইন্ডিয়া'র তথ্য বলছে, বিজেডির দাবি, জোট থাকলেও সরকারে অংশিদার হবে না। সেক্ষেত্রে বিজেডি কেন্দ্রের মোদী সরকারে মন্ত্রক চাইবে না, আর বিজেপিও ওড়িশায় নবীন পট্টনায়কের সরকারে মন্ত্রক চাইতে পারবে না। প্রতিবেদনে সূত্রের দাবি উল্লেখ করে বলা হচ্ছে, এনডিএতে আসতে সেভাবে গড়রাজি নয় বিজেডি। সেখানে আসন বণ্টন নিয়েও দুই পার্টির মধ্যে সংঘাত নেই। তবে বিজেডির দাবি একটাই, সেটি হল সরকারে কোনও রকমের যোগদান বিজেপির সঙ্গে হবে না। সূত্রের খবর ওড়িশার বিজেপি নেতারা আপাতত বিজেডির এই স্টান্সে খুব একটা সন্তুষ্ট নন। এদিকে, ওড়িশায় বিজেপির প্রধান মনমোহন সামাল ও পার্টির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজয়পাল তোমার এই ইস্যু নিয়ে বুধবারই দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে সূত্রের দাবি। উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ ওড়িশায় সফর করেছিলেন মোদী। সূত্রের দাবি, তারপর থেকেই নবীন পট্টনায়কের দলের সঙ্গে বিজেপির জোট চর্চা জোরকদমে হতে থাকে। পরের দিনই বিজেডি পার্টির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে। এদিকে, বিজেপির একাংশের নেতারা বিজেডির সঙ্গে জোটে খুব একটা খুশি নন। এরও নেপথ্যে রয়েছে কিছু ফ্যাক্টর। ‘ডেকান হেরাল্ড’ এর খবর বলছে, ২০০৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজেডির স্টান্সে ধাক্কা খেয়েছিল বিজেপি, যার জেরেই পদ্ম শিবিরের একাংশের অসন্তোষ রয়েছে জোট নিয়ে।। এরপর ১৫ বছর পর ফের একবার পদ্ম শিবিরের সঙ্গে কি হাত মেলাবে পট্টনায়েকের পার্টি? উল্লেখ্য, বুধবার বিজেপি প্রকাশ করেছে তার দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা। যদিও প্রার্থী তালিকায় নেই ওড়িশার। ফলে মনে করা হচ্ছে, যে বিজেপি ও বিজেডি আপাতত জোট আলোচনায় ইতিবাচক সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছেনা। এদিকে, জোট থাকলেও মন্ত্রিসভায় অংশীদারি নয়, নিয়ে বিজেডির যে কঠোর অবস্থান, তাতে খুব একটা স্বস্তির হাওয়া নেই বিজেপি শিবিরে। 'টাইমস অফ ইন্ডিয়ার' প্রতিবেদনে এক বিজেপি নেতার বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, সেখানে তিনি বলছেন, সরকারে থেকেও পার্টির নেতারা সরব হতে পারবেন না তাঁরা যেভাবে বিরোধী হয়ে সরব হন, সরকারে কোনও প্রভাব থাকবে না, এই বিষয়গুলি খুবই হতাশাজনক।