লোকসভা নির্বাচন মিটে গিয়েছে গোটা দেশে। তারপর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে নানা হিংসার ঘটনা। বোমাবাজি–গুলি–ইট–কাঁদানে গ্যাস চলেছে সন্দেশখালিতে। লোকসভা নির্বাচনে সপ্তম দফাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠে সন্দেশখালি। অশান্তির জেরে আহত হয়েছেন তৃণমূল–বিজেপি দু’পক্ষের ৬জন। পথ অবরোধ হয়ে থাকল বাসন্তী হাইওয়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চালানো হয় কাঁদানে গ্যাস। তৃণমূল–বিজেপি দু’পক্ষই লাঠি ও বাঁশ দিয়ে মারধরের অভিযোগ তুলেছে। উভয়পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এই আবহে আজ, রবিবার পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের রবিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
এদিকে ইতিমধ্যেই ফোঁস করে উঠে এক্স হ্যান্ডেলে নির্বাচনে হিংসার কথা উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এবার রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর ভোটের দিন সন্দেশখালি ন্যাজাট থানার বয়ারমারী দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক এলাকা থেকে গোলমালের খবর সামনে আসে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলে পুলিশের এসআই সাগির জামান–কে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ইটের আঘাতে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এখন তিনি ক্যানিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সন্দেশখালি।
আরও পড়ুন: ‘গণনাকেন্দ্রে সমস্যা এবং বিঘ্ন ঘটানোর পরিকল্পনা আছে’, গোপন তথ্য দিলেন স্বপন দাশগুপ্ত
অন্যদিকে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র দলীয় কর্মীদের উপর অত্যাচারের খবর পেয়ে যান রাজবাড়ি এলাকায়। সেখানে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। উর্দি খুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন বিজেপি প্রার্থী। এই আবহে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটা জানতে চেয়ে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। এই আবহে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আবার ন্যাজাট থানার অন্তর্গত ৪ গ্রাম পঞ্চায়েতের সরবেড়িয়া, আগারহাটি, বয়রামারির মতো ১৭টি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আজ, রবিবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে বলে নির্দেশিকা জারি হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে সন্দেশখালি রণক্ষেত্র কেন? ‘অ্যাকশন মুডে’ রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সন্দেশখালি কাণ্ডে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্যপাল নিজের চিঠি পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি সন্দেশখালি নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন বলে উল্লেখ রয়েছে। যদিও সন্দেশখালির হিংসার ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছে পুলিশও। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল। সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচনে সন্দেশখালির আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।