পঞ্চম দফার ভোটের প্রস্তুতির মধ্যেই এবার তাল কাটল। কারণ আগামী ২০ মে বাংলায় পঞ্চম দফার নির্বাচন রয়েছে। ওইদিনে বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, হুগলি, শ্রীরামপুর এবং আরামবাগে ভোটগ্রহণ হবে। এই আবহে এবার বামফ্রন্ট সরকারের জমানাকে টেনে এনে দুর্নীতির কথা বললেন বর্ধমান–দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের এবারের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। আর তা নিয়ে জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। যদিও দিলীপ ঘোষের ভোট হয়ে গিয়েছে। তবু এখনও রাজ্যে তিন দফার ভোট বাকি। তার আগে দুর্নীতি নিয়ে বামেদের নিশানা করেছেন তিনি। এমনকী তদন্ত হোক সে দাবিও তুলেছেন।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি এখন বাংলায় বড় ইস্যু। তা নিয়ে ভোটে প্রচার করতে নেমেছে বিজেপি। সেখানে উন্নয়ন ও মানুষের অধিকার নিয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার এই মামলায় সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। বাম আমলেও দুর্নীতি হয়েছে বলে তথ্য পেয়ে মুর্শিদাবাদের ডিআই, বাম আমলে নিযুক্ত শিক্ষকদের কাগজপত্র চেয়ে পাঠিয়েছেন। এই নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সিপিএম আমলে দুর্নীতি হয়নি এটা কেউ বলতে পারবে না। এটার তদন্ত হওয়া উচিত।’ দিলীপ ঘোষের এই কথায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ এই একই দাবি করেছিলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেটাতেই যেন সিলমোহর দিলেন দিলীপ।
আরও পড়ুন: ‘১ লক্ষেরও বেশি ভোটে হারবেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়’, শ্রীরামপুর জুড়ে বিতর্কিত পোস্টার
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও এখন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তবে এখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক–সহ অনেকে। তবে সিপিএম আমলে দুর্নীতি হয়েছিল বলে বারবার দাবি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সে কথাই এবার শোনা গেল দিলীপ ঘোষের কণ্ঠে। তাঁর বক্তব্য, ‘তখন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি পয়সা নিয়ে চাকরি দিত। দুর্নীতি কি করেনি? তখন স্কুলের পরিচালন কমিটিতে তিন লাখ, চার লাখ টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। স্কুল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড বলে তিন–চার লাখ টাকা নিয়ে নিত। বহু লোক এভাবে চাকরি পেয়েছে। তদন্ত তো হওয়া উচিত।’
আজ, শনিবার বর্ধমান–দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ সকালে বর্ধমান পৌরসভা এলাকায় প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বর্ধমানের লক্ষীপুর মাঠে চায়ে পে চর্চায় যোগ দেন। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। তাঁর কথায়, ‘এবারে কোন রাজ্য তাঁকে ডাকেনি। ওদের আরও সিট কমবে। ওরা মার্কেটেই নেই। যেখানে যাবে সেখানে শুকিয়ে যাবে। গতবারে এক ডজন সিট কমেছিল। এবারে এক ডজন আরও কমবে। সবাই এখন মোদীর ৪০০ পার নিয়ে ভাবছেন।’